[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের ২০২২-২৩ অর্থবছরের এপিএ (বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি) স্বাক্ষর এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
আজ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর। প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে সংস্কৃতি সচিব মোঃ আবুল মনসুর এবং দপ্তর ও সংস্থার পক্ষে দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ এপিএ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতি সচিব বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সরকার একটি উন্নত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চায়। এ সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম নিয়ামক হচ্ছে সংস্কৃতি। শুধু অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দিয়ে সোনার বাংলা গড়া সম্ভব নয়, সংস্কৃতিও এক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তিনি বলেন, সংস্কৃতি নিয়ে অনেক কাজ হচ্ছে। কিন্তু সেগুলো বিক্ষিপ্তভাবে হচ্ছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সেগুলোকে একসাথে জড়ো করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও পরিকল্পনা অনুযায়ী গুছিয়ে করতে চায়।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এপিএ স্বাক্ষরকারী ১৭টি দপ্তর ও সংস্থা হচ্ছে যথাক্রমে বাংলা একাডেমি, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি, বিরিশিরি, নেত্রকোণা; কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, কক্সবাজার; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, রাঙ্গামাটি; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, বান্দরবান; রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি, রাজশাহী এবং মণিপুরি ললিতকলা একাডেমি, কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার।
২০২১-২২ অর্থবছরের মতো ২০২২-২৩ অর্থবছরের এপিএ’র কাঠামোয় সুশাসন ও সংস্কারমূলক কার্যক্রমসমূহকে (জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন এবং তথ্য অধিকার) সমন্বিতভাবে এপিএ’র অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদানের জন্য গঠিত বাছাই কমিটির সুপারিশ এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট ৫ জনকে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসাবে এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্ধারিত ফরম্যাটে একটি সার্টিফিকেট ও একটি ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্র্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হচ্ছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের মধ্য হতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) রতন চন্দ্র পন্ডিত (গ্রেড-২), সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোঃ আতাউর রহমান (গ্রেড-৩), সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ সগীর হোসেন (গ্রেড-৬), প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহমেদ (গ্রেড-১০) ও অফিস সহায়ক মোঃ সাদ্রিব হোসেন (গ্রেড-২০)।
পরে কর্মকর্তা-কর্মচারীর হাতে শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর।