[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
শেষ হলো ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার “বাংলাদেশ দিবস”-এর দুই দিনের আয়োজন। দ্বিতীয় তথা শেষ দিনের দু’টি সেমিনারের পর অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকেলে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিনারের বিষয় ছিল “সোনার বাংলার স্বপ্নযাত্রা: শেখ মুজিব থেকে শেখ হাসিনা”। মূল আলোচক ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান।
আলোচনা করেন লেখক ও গবেষক সুভাষ সিংহ রায়; শিক্ষাবিদ, কবি ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক পবিত্র সরকার; লেখক, ভাষা ও সমাজকর্মী ড. ইমানুল হক। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নূরুল হুদা।
এরপর বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড এর আয়োজনে “বাংলাদেশ: সংগ্রাম, সিদ্ধি, মুক্তি” বই আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবি কামাল চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মশিউর রহমান, বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতার উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষাবিদ, কবি ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক পবিত্র সরকার। এর পর কবি কামাল চৌধুরীর তিনটি বইয়ের (কামাল চৌধুরীর শ্রেষ্ঠ কবিতা, টুঙ্গিপাড়া গ্রাম থেকে, ইংরেজি অনুবাদ, শান্তি নিকেতনে বাংলাদেশ ভবন) মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২২-এর ফোকাল থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। কলকাতার বিধাননগরের করুণাময়ীর সেন্ট্রাল পার্ক মেলা প্রাঙ্গণে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। চলবে ১৩ মার্চ পর্যন্ত।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে “বাংলাদেশ” কে থিম কান্ট্রি করে ৪৫ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বই মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। কলকাতার সেন্ট্রাল পার্কে পাবলিশার্স এন্ড বুকসেলার্স গিল্ড আয়োজিত ‘৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা পুস্তক মেলা ২০২২-এর উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
এবারের বইমেলায় বাংলাদেশের থিম ‘মুজিব চিরন্তন’। এই থিমের ওপর ভিত্তি করে স্লোগান-‘সৃজনে মননে মানবিক দেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশ’। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল মূলত: স্বাধীনতার ডাক, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের আহ্বান এবং অনুপ্রেরণা। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণটিকে বিশ্ব প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মেমোরি অভ্ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মুজিববর্ষে তাই বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণকে কেন্দ্র করেই এবারের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করা।