শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে বঙ্গবন্ধুর অমর কীর্তিগাঁথা ও দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের দুটি কবিতা হস্তান্তর

সোমবার, এপ্রিল ৪, ২০২২,১২:২০ অপরাহ্ণ
0
97

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

নিজস্ব সংবাদদাতা : ঘাতক মরণব্যাধি “করোনা” মুক্ত পরিবেশে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল “বঙ্গবন্ধুর ১০২ তম জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস” এবং “মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২-এর বিভিন্ন অনুষ্ঠান।
তারই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক জন্মশতবার্ষিকী, ২০২১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ও মহাবিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত ” এক মহানায়কের অমর কীর্তিগাঁথা” শীর্ষক একটি ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন নিয়ে লিখিত ” অদম্য এক বাংলাদেশ” শীর্ষক অপর আরেকটি কবিতাসহ দুটি কবিতার ফেস্টুন ও কবিতার সাথে নির্মিত দু’টি ভিডিও চিত্র সম্প্রতি শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর দেবতোষ কুমার নিয়োগীর নিকট হস্তান্তর করেন “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক” প্রাপ্ত কৃষিবিদ শেখ মোঃ মুজাহিদ নোমানী।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মিসেস নাহিদা শবনম, সহযোগী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, মোঃ আশরাফুল আলম মুরাদ, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা, মোঃ হাবিবুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক গণিত বিভাগ।
উল্লেখ্য যে, কৃষিবিদ মুজাহিদ নোমানী (রুবেল) ২০১৮ সালে কৃষি উন্নয়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণ মূলক কর্মকান্ডে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক ১৪২৩”প্রাপ্ত হন। বর্তমানে তিনি কৃষিবিদ সাংবাদিক, বিশিষ্ট লেখক, উদ্ভাবক, অবঃপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ও জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বীজ প্রত্যয়ন সংস্থা, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং সিনিয়র সহ-সভাপতি, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত পরিষদ বাংলাদেশ “।

উল্লেখ্য, কৃষিবিদ মুজাহিদ নোমানী তাঁর স্ব রচিত ” এক মহানায়কের অমর কীর্তিগাঁথা..! ” শীর্ষক কবিতাটিতে বঙ্গবন্ধুর জন্ম হতে শাহাদাত বরণ পূর্ব পর্যন্ত সময়ে শৈশবে দুঃখী মানুষের জন্য অকৃত্রিম দরদ,কৈশোরে প্রতিবাদী যুবকের বৈশিষ্ট্য আর তারুণ্যে নেতা সোহরাওয়ার্দী, নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক-এর সান্নিধ্যে অসাধারণ নেতৃত্ব প্রদান করে ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯’-এর গণঅভ্যুথান আর ৭ মার্চ,১৯৭১-এর অগ্নিঝরা ভাষণে উজ্জীবিত মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের, যা কবিতাটির প্রতিটি লাইনে সুর-ছন্দে তুলে ধরা হয়েছে।
তাছাড়া বাঙালির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে এক ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি,স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি ১৯৭২-এ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েই তাঁর দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞা দিয়ে বুঝেছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের মৌলিক চাহিদাসমুহ পূরণের জন্য সর্বপ্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা ও ধ্বংসপ্রাপ্ত যোগাযোগ অবকাঠামো জরুরী ভিত্তিতে পুনর্বাসন করা।
আর এর জন্য প্রয়োজন উন্নত জাতের মানসম্পন্ন ভালো বীজ, সার ও সেচ এবং উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাই ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার ইস্পাত-দৃঢ় স্বপ্ন পূরণে প্রথমেই বঙ্গবন্ধু হাতে নিলেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত সোনার বাংলার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নতুন নতুন কৃষি প্রতিষ্ঠান, গবেষণাগার স্থাপন ও পুরাতন কৃষি অবকাঠামো এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প।

তারই ফলশ্রুতিতেই বঙ্গবন্ধুর স্বল্প সময়ের রাষ্ট্র পরিচালনাকালে ১৯৭৫ সালের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন বেড়ে যায় দুই গুণ। আজ তা হয়েছে প্রায় ৪ গুণ। খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে বাংলাদেশ আজ খাদ্য রফতানিকারি দেশে পরিণত হয়েছে।
যুদ্ধ -বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে দক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় এমনিভাবে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, গৃহায়ণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক দূরদর্শিতায় উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং সফল পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণের ফলে বিশ্ব শান্তিতে অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৩ সালে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক আন্তর্জাতিক সম্মাননা “জুলিও কুরি’ শান্তি পুরস্কার”-এ ভূষিত করা হয়। এ সমস্ত উল্লেখযোগ্য ঘটনাই তুলে ধরা হয়েছে ৩৬ লাইনে রচিত ” এক মহানায়কের অমর কীর্তিগাঁথা …!” শীর্ষক কবিতাটিতে।

অপরদিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ৪র্থ মেয়াদে নির্বাচিত একজন অনন্য, অসাধারণ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফল উন্নয়ন প্রকল্পসহ বিশ্ব রাজনীতিতেও সফলতা বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছে। শুধু তাইনয় তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জারের বলা “বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়ি”, সেই বিদ্রুপাত্মক মন্তব্যকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে বিশ্বের বিস্ময় এবং উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে দাড়িঁয়েছে! যা ৩৪(চৌত্রিশ) লাইনে রচিত “অদম্য এক বাংলাদেশ “নামক অপর আরেকটি কবিতায় তুলে ধরা হয়েছে।
উল্লেখ্য,জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রজ্ঞা, অকুতোভয় সাহস, ইস্পাত-দৃঢ় আত্মবিশ্বাস আর দক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের কল্যাণে,দেশ ও জাতির উন্নয়নে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট(এসডিজি) অর্জনে সময়োপযোগী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করায় ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে যে অভাবনীয় ও অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তার সুফল এখন জনগণ ভোগ করছে এবং আগামীতেও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এর সুফল ভোগ করবে যা আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের জানা উচিৎ। এ বিষয়টিকে ধারণ করেই রচনা করা হয়েছে ৩৪ লাইনের “অদম্য এক বাংলাদেশ” শীর্ষক কবিতাটি।

কোমলমতি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষিত-অর্ধ-শিক্ষিত সকলের জন্য উপযোগী করে অত্যন্ত সহজ-সরল ভাষায় কবিতা দুটি রচনা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও মুজিবর্ষ উপলক্ষে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য।
এ উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী ছাড়াও অন্যান্য বিশেষ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কবিতা দুটি আবৃত্তি করা, কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে আবৃত্তি প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অনুষ্ঠানসমুহে কবিতা দুটি আবৃত্তি ও আবৃত্তির ভিডিও চিত্র প্রদশর্নের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কৃষিবিদ শেখ মুজাহিদ নোমানী মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর দেবতোষ কুমার নিয়োগীকে অনুরোধ জানান।
আরেকটি সুখবর হচ্ছে যে, কবিতা দুটি মানসম্পন্ন হওয়ায় তা ২০২০ হতে ২০২২ সালে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষকী উপলক্ষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের নিয়মিত সরকারি মাসিক প্রকাশনা ” সচিত্র বাংলাদেশ “, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষি তথ্য সার্ভিস-এর মাসিক “কৃষিকথা”র বিশেষ সংখ্যাসমুহে প্রকাশিত হয়েছে।

এ ছাড়াও মাননীয় কৃষি মন্ত্রী ড. এম.এ, রাজ্জাক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিমের নেতৃত্বে পরিচালিত পেশাজীবি সংগঠন “বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ” কর্তৃক প্রকাশিত বিশেষ সংকলন ” কালজয়ী”-সহ ঢাকা,ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর জেলার শীর্ষস্থানীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক ও জাতীয় পত্রিকা ” দৈনিক যুগান্তর ” দৈনিক দেশকাল, মানব সংবাদ, প্রভাতফেরীসহ বিভিন্ন প্রিন্টেড ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু তাইনয় উক্ত কবিতা দুটি বেসরকারি একমাত্র ইংরেজি পাক্ষিক ম্যাগাজিন “The Reflector”, ইংরেজি দৈনিক ” Bangladesh Today”, বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের একমাত্র সরকারি ত্রৈমাসিক ইংরেজি ম্যাগাজিন ” The Bangladesh Quarterly, January -March 2020 ” এ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ সংখ্যায় একমাত্র ইংরেজি কবিতা হিসেবে “The Immortal Fame of Great Bangabandhu…!” শিরোনামে উক্ত কবিতাটিই চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে প্রকাশিত হয়। যা ছিল সমগ্র কৃষিবিদ এবং শেরপুরের জনগণের জন্য অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের বিষয়।

অপরদিকে ” The Bangladesh Quarterly, October – December ‘2021-এর মহাবিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ইতিহাস, অর্জন ও সাফল্য নিয়ে লেখা ” The Unstoppable one Bangladesh ” শিরোনামে ইংরেজিতেও এ কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছে।

সবশেষে মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অত্যন্ত আবেগ আপ্লুত হয়ে উপস্থিত সকল প্রভাষক ও অধ্যাপকবৃন্দের সম্মুখে এ প্রতিবেদককে বলেন, জনাব মুজাহিদ নোমানীর আরেকটি অন্যরকম গর্ব করার পরিচয় আছে তা হলো, তিনি এই সরকারি মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল নারী শিক্ষার অগ্রদূত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মরহুমা শাহজাদী জাহানারা ওরফে রুবি আপার একমাত্র পুত্র সন্তান।
ভারপ্রাপ্ত বর্তমান অধ্যক্ষ আরও বলেন আমি প্রবীণ বিদ্যোৎসাহী বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের নিকট শুনেছি, আমাদের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ জাহানারা আপার হাত ধরে ১৯৭২ সালের ০১আগস্ট হতে মাত্র ০৫ জন ছাত্রী নিয়ে শেরপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে এই মহিলা কলেজের যাত্রা শুরু হয়।
তারপর ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বাকী ১৬ বছরের ইতিহাসে জড়িয়ে আছে তিল তিল করে গড়ে তোলা এ কলেজের প্রতিটি ধূলিকণা, ইট পাথরের গায়ে আর অপূর্ব সুন্দর এই মহিলা কলেজের বর্তমান উন্নয়নের সেই ভিত্তিমূলে, যেদিন এ কলেজের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাহানারা আপার নেতৃত্বে ও উদ্যোগে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিব নগরে স্থাপিত তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম অর্থমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম তাজউদ্দীন আহমদ এই মহিলা কলেজের দ্বারোদঘাটন করেন। যা শাহাজাদী জাহানারা বেগম ( রুবি আপা) র মৃত্যুর পর তাঁর সুযোগ্য কৃষিবিদ এক পুত্র ও প্রতিষ্ঠিত ২জন চিকিৎসক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জনপ্রিয় প্রশিক্ষকসহ শেরপুরের সকল স্তরের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের সহযোগিতায় প্রকাশিত ‘ তুমি রবে নীরবে ‘ শাহজাদী জাহানারা ওয়াজেদ স্মারক গ্রন্থের”প্রতিটি পাতায় পাতায় বিধৃত আছে কলেজের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।

সবশেষে আগামী ২৭ জুলাই ২০২২ মাসে এই মহিলা কলেজের আসন্ন সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষের উত্তরসূরিদের খোঁজ পেয়ে এবং পুত্র বধু আনীছা বেগম বেলী এই মহিলা কলেজের ছাত্রী হিসেবে পড়াশোনা করে বর্তমানে ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের একজন জনপ্রিয় সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন এবং এ মহিলা কলেজের আরেক গুণী ছাত্রী শাহজাদী আন্জুমান আরা মুক্তি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অবসরে আছেন জেনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অত্যন্ত গর্ব অনুভব করেন এবং তাৎক্ষণিক মোবাইলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, মরহুমা শাহজাদী জাহানারা আপার পুত্রবধু কাকতালীয়ভাবে বর্তমানে তারই পুত্র সন্তান অনিন্দ্য নিয়োগীরও শ্রেণী শিক্ষক।
পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই “বঙ্গবন্ধুর ১০২ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ ” প্রাক্কালে হঠাৎ মহিলা কলেজে পরিদর্শনে আসার জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপালের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কৃষি উন্নয়নে রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষিবিদ শেখ মোঃ মুজাহিদ নোমানী (রুবেল)কে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ইতিহাস নিয়ে লিখিত কবিতা দুটির ফেষ্টুন ও আবৃত্তির ভিডিও চিত্র সরবরাহ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এবং কলেজের ছাত্রীদের মাঝে আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় কবিতা দুটি আবৃত্তির ব্যবস্থা গ্রহণসহ আগামীতে মহিলা কলেজের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সম্ভাব্য অনুষ্ঠানে যোগদানের আগাম আমন্ত্রণ জানান।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে