[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, দুর্যোগকালীন দুর্বিপাকে যারা মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগে দুর্বৃত্তপনার মাধ্যমে লুটপাট করছে তারা যতই ক্ষমতাবান এবং তাদের খুঁটিরজোর থাকুক না কেন আইনের আওতায় এনে তাদের দর্পচূর্ণ করা হবে। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা কোন গড-ফাদারও রেহায় পাবেন না।
কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলার বিষয়টি নিজেই মনিটরিং করছেন এবং তার ডিকশনারীতে দুর্বৃত্তদের ক্ষমা বা ছাড় দেয়ার মত কোন শব্দার্থ নেই। তিনি মাঝিরঘাটে ঘাট ও গুদাম শ্রমিক ইউনিয়ন ও আসকারদিঘী পাড়ে ডেকোরেশন শ্রমিক (বয়) সমিতির সদস্যদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, মরণঘাতী করোনা যখন সাড়া বিশ্বে মহাবিপর্যয় ও অর্থনৈতিক মন্দা ঢেকে এনেছে, ঠিক এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অবস্থা আরো সঙ্গীন। করোনাকালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশের উপকূলবর্তী ও মধ্যবর্তী বিস্তীর্ণ জনপদ লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। আর বর্তমানে আগাম বন্যায় উত্তর-দক্ষিণ মধ্যাঞ্চাল লক্ষ লক্ষ মানুষের বসত-বাটি ও জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে- এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা। তারপরও সরকার দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী কর্মচ্যূত মানুষ হাতে পৌঁছানোর পাশাপাশি বন্যা কবলিত আর্তমানবতার প্রতি ও সাহার্য্যরে হাত বাড়ানো হয়েছে।
সরকারের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার অভিজ্ঞতা আছে। এ ধরনের দুর্যোগ প্রতি বছরই হচ্ছে বিধায় সরকারের ত্রাণভান্ডারের পর্যাপ্ত মওজুদ থাকে এবং এবারও আছে। তাই পরিস্থিতি মোকাবেলার শক্তি ও সামর্থ্য আছে বিধায় কারো হতাশ হবার কোন কারণ নেই। তিনি কর্মচ্যূত খেটে খাওয়া মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা দিনে এনে দিনে খায় তাদের জীবন চলে না। ত্রাণতো একটি সাময়িক সহায়তা। আজ স্বাভাবিক অবস্থা না থাকলেও সরকার চেষ্টা করছেন জীবিকা ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে যাদের আয়-রুজির পথ একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে সীমিত ভাবে হলেও তাদের জীবিকার সংস্থান করা যায় কিনা সে ব্যাপারে আমাদের ভাবতে হবে।
এ সময় সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, ঘাট ও গুদাম শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ইদ্রীস হাওলাদার, মোহাম্মদ পলাশ মিয়া, এস এম মামুনুর রশীদ, আনিসুল ইসলাম চৌধুরী, বেলাল আহমদ, ডেকোরেশন মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ সাহবুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল আলম চৌধুরী মিল্টন, অর্থ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, বশির আহমেদ, ডেকোরেশন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আউয়াল, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শামিম, বয় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ সিরাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।