[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন করোনা মহামারী’র সময়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ মাসিক বেতন ও টিউশন ফি আদায়ে চাপ প্রয়োগ বিষয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এম.পি ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এম.পি বরাবরে পত্র প্রদাণ করেন।
আজ প্রেরিত পৃথক পৃথক পত্রে চসিক প্রশাসক উল্লেখ করেন যে, উপর্যুক্ত বিষয়ে আপনার ব্যক্তিগত দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণজনিত মহামারিতে বাংলাদেশ সহ পুরো পৃথিবীই অনেকটা থমকে আছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেক পেশাজীবী ও চাকরিজীবী। অনেক প্রবাসী চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরেছেন। এহেন পরিস্থিতিতে নিম্বিনত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জীবিকা নির্বাহ করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। মানবিক বিবেচনায় সরকার বিদ্যুৎ বিলসহ বিভিন্ন বিলে বিলম্ব ফি মওকুফ করেছে এবং বিভিন্ন সেক্টরে প্রণোদনা দিচ্ছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মহামারীর এই সময়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ মাসিক বেতন ও টিউশন ফি আদায়ে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে মর্মে ভুক্তভোগীরা নিম্নস্বাক্ষরকারী বরাবরে অভিযোগ করেছেন।
এতদ্প্রেক্ষিতে করোনা মহামারীর এই দুর্যোগের সময়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ মাসিক বেতন ও টিউশন ফি আদায় না করে শিক্ষক ও কর্মচারীগণের বেতন প্রদানের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় পরিমাণ টিউশন ফি নির্ধারণপূর্বক তা আদায়ে নির্দেশনা প্রদান করা সময়ের দাবী। বর্ণিত প্রেক্ষাপটে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠনের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ মাসিক বেতন ও টিউশন ফি আদায় সংক্রান্ত বিষয়ে বাস্তবতার নিরিখে সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে সুচিন্তিত নির্দেশনা প্রদানের জন্য আপনার ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ একান্তভাবে কামনা করছি।