[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোতে মহামারি আকার ধারন করার পাশাপাশি তান্ডবলীলা চালাচ্ছে বাংলাদেশেও। দেশ ও জনগণের মঙ্গলের কথা মাথায় রেখে সরকার প্রায় অঘোষিত লক ডাউনে নিয়ে এসেছেন পুরো দেশকেই। বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ ও আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থায়। ঠিক এসময়েই শনির আখড়া ও দনিয়ার কতিপয় কোচিংয়ের কয়েকজন শিক্ষকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গত বুধবার শনির আখড়া ও কুতুবখালি এলাকায় নিম্নবিত্ত ও দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
২৫ মার্চ প্রথম ধাপে প্রতিটি প্যাকেটে ২ কেজি চাল, আধা কেজি মশুরের ডাল, ১ কেজি আলু, আধা কেজি পেয়াজ, আধা কেজি মুড়ি, ২টি ডেটল সাবান, ১২০ মিলি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ১ পাতা নাপা ট্যাবলেট ও ১টি করে মাস্ক প্রদান করা হয়। তাছাড়া শনির আখড়া ও এর আশে পাশের এলাকার পথচারী ও যানবাহন আরোহীদের মধ্যে প্রায় ১৫০ পিস মাস্ক বিতরণ করা হয়।
ত্রাণসামগ্রি এলোমেলোভাবে বন্টন না করে বিশ্বস্ত সুত্রমতে যোগ্য ব্যাক্তিদের মধ্যেই বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়। দ্বিতীয় ধাপে ২৬শে মার্চ এলাকার প্রায় ২৫ টি মসজিদে সচেতনতামূলক লিফলেট ও ১৫০ টি ডেটল সাবান প্রদান করা হয়।
২৮ই মার্চ তৃতীয় ধাপে শনির আখড়া ও আশেপাশের এলাকার নিম্নবিত্ত ও দিনমজুর খেটে খাওয়া ৬০টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রি বিতরণ করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে ৩ কেজি চাল, আধা কেজি মশুরের ডাল, ২ কেজি আলু, আধা কেজি পেয়াজ ও ২টি ডেটল সাবান ছিলো৷
২৯ই মার্চ চতুর্থ ধাপে এলাকার কয়েকটি মসজিদ জিবানুনাশক দিয়ে ধোয়ামোছা করা হয় ও এর আশেপাশের এলকায় জিবানুনাশক পানি ছিটানো হয়।
আজ ৩০মার্চ পঞ্চম ধাপে, শনির আখরা ও কুতুবখালির অলি গলিতে প্রায় ৩০০ লিটার জিবানুনাশক ছিটানো হয়।
আয়োজকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে খেটে খাওয়া দিন মজুরদের পাশে থাকা এবং তাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য সকলের এগিয়ে আসার কথাই বলেছেন তারা। এমন কাজ পরবর্তীতে আরো কয়েক দফা আয়োজন করার ইচ্ছাও পোষণ করেন তারা।