শাহ আমানত বিমানবন্দরে ২৪টি সোনার বার সহ চীনা নাগরিক আটক

বুধবার, মে ৮, ২০১৯,৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ
0
52

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

এবার চীনা নাগরিক সোনা চোরাচালান করে ধরা পড়ল। কৌশলে লুকিয়ে চার্জার লাইটের ভিতর ২৪টি অবৈধ সোনার বার পাচার করার সময় তিনি চট্টগ্রাম কাস্টমসের হাতে ধরা পড়েন । জব্দ করা সোনার ওজন ২ কেজি ৮০০ গ্রাম এবং এর বাজার মূল্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা। এ ঘটনা আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘটে।

আটক চীনা নাগরিকের নাম ফান রাংগুই (৩০)। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের যাত্রী ছিলেন তিনি। চীনের গুয়াংজো প্রদেশে তার বাড়ি ।

বিমানবন্দরে দায়িত্বরত চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার নুর উদ্দিন মিলন বলেন, বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে (বিজি-১৪৮) দুবাই থেকে চট্টগ্রামে আসেন চীনের এই নাগরিক । ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে । ওই যাত্রীর লাগেজ স্ক্যানিংয়ের সময় তাতে সন্দেহজনক বস্তুর উপস্থিতি পাওয়া যায়। পরে সেটি খুলে তল্লাশি করলে ২৪ পিস সোনার বার পাওয়া যায়। সেগুলোর ওজন ২ কেজি ৮০০ গ্রাম এবং বাজার মূল্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা।

নুর উদ্দিন মিলন বলেন, পাসপোর্ট যাচাই করে দেখেছি ওই চীনের নাগরিক ২০১৮ সাল থেকে আজকে পর্যন্ত ১৬ মাসে ৪৩ বার চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিমানবন্দর দিয়ে আসা-যাওয়া করেছে। সে কী কাজে বাংলাদেশে আসছে, কোথায় থাকে সঠিক কোনো তথ্য দিচ্ছে না। একবার বলছে টি-শার্ট অর্ডার দেয়ার জন্য দেশে এসেছে আবার বলছে বেড়াতে এসেছে। চট্টগ্রামের কোন হোটেলে উঠেছে তাও বলছে না। এক পর্যায়ে তার মোবাইল নিয়ে তার পরিবার ও দেশে কথা বলতে চাইলেও পাসওয়ার্ড দিচ্ছে না। তার কথা বার্তায় মনে হচ্ছে সে আগে থেকেই এই সোনা পাচারে জড়িত। এই প্রথম কাস্টমসের হাতে ধরা পড়ল।

এ বিষয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, চীনের নাগরিকের লাগেজ স্ক্যান করে সোনার বার পাওয়া নিশ্চিত হওয়ার পর এক পর্যায়ে লাগেজ ফেলে সে পালিয়ে বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে যায়। কাস্টমস ও পুলিশ কর্মকর্তারা ধাওয়া করে তাকে গেইটের বাইরে থেকে ধরে ফেলে। এখন তাকে কাস্টমস কক্ষে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় পতেঙ্গা থানায় চোরাচালান মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস আটক চীনা নাগরিকের বিরুদ্ধে ।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে