শরীয়তপুরে ২টি বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে

বৃহস্পতিবার, জুলাই ১৮, ২০১৯,৭:৪০ পূর্বাহ্ণ
0
76

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পদ্মা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে । শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটি টিকিয়ে রাখতে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে বালুর বস্তা দিয়ে ।

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের ভানু মল্লিকের কান্দি গ্রামে অবস্থিত কাজিয়ার চর ছমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬৬ সালে স্থাপিত হয়, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী রয়েছে সাড়ে ৫০০ জন। আর ৯নং কাজিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৪২ সালে স্থাপিত হয়, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী রয়েছে ৮৪ জন । নদী ভাঙতে ভাঙতে এবার একেবারে বিদ্যালয় দুটির কিনারে এসে ঠেকেছে।

বুধবার বিকালে সরেজমিনে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ঠিকাদারের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ১৫ হাজার বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলা হয়েছে। নদী ঘেষে ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে আছে চারতলা ফাউন্ডেশনের একতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১০০ হাত দূরে । বালুর বস্তা দিয়েই ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। তার পাশে ভানু মল্লিক কান্তি জামে মসজিদ, কাজিয়ার চর কমিউনিটি ক্লিনিক ও ১৮টি দোকান নিয়ে কাজিয়ার চর বাজার ভাঙনের মুখে রয়েছে। 

কথা হয় দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নিঝুম, পারভেজ, সুলতানা ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. রায়হান, বিথি বলে, স্কুলে যাওয়া-আসার সময় ও ক্লাস করার সময় খুব ভয় লাগে। কখন আমাদের দুটি স্কুল  চলে যায় নদীগর্ভে।

শিক্ষার্থীর অভিভাবক নোয়াব আলী মাদবর বলেন, আশপাশে তো কোনো স্কুল নাই। তাই বাধ্য হয়ে ছেলে-মেয়েদের পাঠাই ওই স্কুলে ।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সরস্বতী রানী সাহ বলেন, আগে বিদ্যালয়ে সাড়ে ৩০০ মত শিক্ষার্থী ছিল। দিন দিন কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার । পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীমের নির্দেশে বিদ্যালয় রক্ষার জন্য ইতিমধ্যে ফেলা হয়েছে বালুর বস্তা ।

কাজিয়ার চর ছমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, গত বছর যখন তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয় তখন বিদ্যালয় ভেঙে যাবে ভয়ে জাজিরা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন জব্বর আলী আকনকান্দি গ্রামে কাজিয়ার চর ছমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের খোলা হয় দ্বিতীয় শাখা । সেখানে  শিক্ষার্থী রয়েছে আড়াইশ। আর পদ্মা নদীর পাড়ে বাকি শিক্ষার্থীদের নিয়ে রয়েছি ভাঙনের মুখে । তাছাড়া বর্ষা হলে চারদিকে থাকতে হয় পানিবন্দী হয়ে । স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ না করতে পারলে বিদ্যালয়টি টিকানো সম্ভব হবে না।

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে আমার কথা হয়েছে। তারা  কাজ করছে বিদ্যালয় দুটি রক্ষার্থে। বিদ্যালয়ে এ বছর পাঠদানে কোন সমস্যা নেই। 

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার বলেন, বিদ্যালয় ভাঙন রোধে অস্থায়ী ভিত্তিতে ফেলা হয়েছে ৬০ লক্ষ টাকার বালুর বস্তা। প্রয়োজন হলে আরও ফেলা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করছে মনিটরিং কমিটি ।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে