[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পরিবেশ সংরক্ষণে শকুনের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু দিনদিন এই উপকারী পাখিটি প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। বিলুপ্তপ্রায় এ শকুনকে বাঁচাতে গণসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার শকুন সংরক্ষণে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
গতকাল আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস ২০২০ উপলক্ষে বন অধিদপ্তর আয়োজিত অনলাইন সেমিনারে সরকারি বাসভবন থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বনমন্ত্রী বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্যসংরক্ষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জানান, বিভিন্ন কারণে ৯৯ শতাংশ শকুন বিলুপ্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশে ২৬০ টি শকুন আছে। তাই সরকার শকুনের সংখ্যাবৃদ্ধিতে কাজ করছে। শকুনসংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে দেশব্যাপী শকুনের জন্য ক্ষতিকারক ওষুধ ডাইক্লোফেনাক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে জাতীয় শকুন সংরক্ষণ কমিটি গঠন এবং ২০১৪ সালে দেশের দু’টি অঞ্চলকে শকুনের নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৬ সালে ১০ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনাও প্রণয়ন করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের শকুন রক্ষার জন্য দীর্ঘমেয়াদী কাঠামো হিসেবে কাজ করছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ২০১৫ সালে শকুনের প্রজননকালীন সময়ে বাড়তি খাবারের চাহিদা মেটানোর জন্য হবিগঞ্জের রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ও সুন্দরবনে দু’টি ফিডিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৬ সালে অসুস্থ ও আহত শকুনদের উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দিনাজপুরের সিংড়ায় একটি শকুন উদ্ধার ও পরির্চযা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ৯৩টি হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুন উদ্ধার, পরিচর্যার পর পুনরায় প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হয়েছে।
প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-মন্ত্রী হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান ও অতিরিক্ত সচিব ড. মো: বিল্লাল হোসেন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো গ্লোবাল থ্রেটেন্ড স্পিসিজ অফিসার এবং রয়্যাল সোসাইটি ফর দ্য প্রটেকশন অব দ্য বার্ডস এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ক্রিস বাউডেন এবং পাখি গবেষক ড. এনাম উল হক বক্তব্য রাখেন।