[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আজহারুল ইসলাম জনি (গাজীপুর) : গাজীপুরের কালীগঞ্জে এখন ধান কাটার মৌসুম। উপজেলার সকল ফসলের মাঠজুড়ে শুধু পাকা সোনালী ধান।
বর্তমান সময়ে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত শ্রমিকের অভাবে,পুরো ৫ মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে কৃষকরা এখন সেই ধান ঘরে তুলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কিত। মাঠেই ঝরে পড়ছে কৃষকের সোনালী ধান।
যেখানে সারাদেশ কোভিড-১৯’এর আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে । এবং সেইসাথে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যাও। সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের আওতায় রয়েছে পুরো দেশ। কঠোর লকডাউনে গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। প্রতি বছর এই সময়টিতে উত্তরবঙ্গ থেকে ধান কাটার জন্য অনেক শ্রমিক এই অঞ্চলে আসতো।
বর্তমানে কঠোর লকডাউনে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় উত্তরবঙ্গ থেকে ধান কাটার কোনো শ্রমিক এই অঞ্চলে আসতে পারছে না। ফলে কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, গত বছরও এই সময়টাতে লকডাউন থাকার কারণে ধান কাটার শ্রমিক আসতে পারেনি।
ফলে বিঘা প্রতি ধান কাটার জন্য প্রায় দশ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে । গত বছরের এই সময়টাতে এলাকার কৃষকরা একজন আরেকজনের ধান কেটে দিয়েছে।
এবারও একইভাবে ধান কাটতে হবে। দেরি হলে সামান্য ঝড়েই ধান মাটিতে পড়ে যাবে। অন্যদিকে এই শঙ্কায় তাড়াহুড়ো করে ধান কাটতে গিয়ে ধান গাছের খড় আনতে পারছেন না কৃষকেরা। ফলে গবাদি পশুর খাবার নিয়েও থাকতে হচ্ছে চিন্তায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা তাসলিম বলেন, কৃষি শ্রমিকদের গণপরিবহনে কোনো বাধা নেই। সরকারি নির্দেশনায় স্পষ্ট করে উল্লেখ আছে তারা চাইলে কাজের জন্য যেকোনো স্থানে যেতে পারেন। এখন কেউ যদি না আসে তাহলে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে ধান কাটার ভর্তুকির ব্যাপারে সরকারি কোনো নির্দেশনা নেই বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।