[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন যে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেছে তার বিশ্বস্ততা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে একটি আস্থা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হবে, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নের ধারা অব্যাহত রেখে আগামীতেও জনগণের এই আস্থা ধরে রাখা। কোনো অবস্থাতেই যাতে এক ব্যক্তি দুই জায়গায় ভোটার হতে না পারে এবং রোহিঙ্গা বা অন্য কোনো দেশের নাগরিক যেন অবৈধভাবে ভোটার হতে না পারে সে বিষয়ে কমিশনকে অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে। প্রয়োজনে এসব অপরাধের কঠোর শাস্তির বিধি-বিধান করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।
মন্ত্রী গতকাল ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে এ বছর জাতীয় নির্বাচন পদকপ্রাপ্ত তিনজন নির্বাচন কর্মকর্তার হাতে পদক তুলে দেন আনিসুল হক। একই সময় কয়েকজন নতুন ভোটারের হাতে জাতীয় পরিচয়ের স্মাট কার্ড তুলে দেন তিনি।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইভিএম- পদ্ধতিকে আরো আধুনিক ও স্বচ্ছ করার জন্য ধারাবাহিক গবেষণা করতে হবে। “ট্রায়াল এন্ড এরার” এর ভিত্তিতে ইভিএম পদ্ধতিকে স্ট্যান্ডারাইজড তথা সার্বিক ত্রুটিমুক্ত করতে হবে। এছাড়া ভবিষ্যতে এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে যাতে মানুষ ঘরে বসেই অনলাইনে তার নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন এবং তার ভোটটি কোথায় গেল তা যেন নিশ্চিত হতে পারেন।
নির্বচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মোঃ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মোঃ রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।