[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নিয়ে মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির পরিবর্তে শুধু সাহায্য-সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে বলে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। আর এটাকে তারা বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের রেখে দেয়ার চক্রান্ত হিসেবেই দেখছেন। আইএসসিজি জানায় রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতি বছর প্রায় ৯৫ কোটি ডলার খরচ হলেও বিদেশি সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে ৪০ শতাংশ। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ছাড়া বিকল্প কিছুই ভাবছে না।
জাতিসংঘে চলমান সাধারণ অধিবেশনে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার জন্য যে আশ্বাস পাওয়া গেছে তা প্রয়োজনের ষাট শতাংশ। প্রতি বছর বিশ্ব সম্প্রদায় নানাভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও তা দেখা যাচ্ছে না কার্যত বাস্তবে। আর প্রধান কাজ প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখছে না। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এবং উখিয়া উপজেলার সাধারণ মানুষ এতে ক্ষুব্ধ। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিরোধী দেশি-বিদেশি এনজিওগুলোর কর্মকাণ্ড নিয়েও প্রশ্ন তাদের।
কক্সবাজার পিপল্স ফোরামের ফরহাদ ইকবাল মনে করেন সাহায্য সহযোগিতার চেয়েও মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করে দ্রুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক জানান, বিদেশি সহায়তার পাশাপাশি বড় একটা সাহায্য সরকারকে বহন করতে হচ্ছে, তাই দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান।
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এবং উখিয়া উপজেলার বিস্তৃর্ন পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আশির দশক থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আসলেও ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে অবস্থান নিয়েছে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে।