রায়ে ‘আমৃত্যু’ উল্লেখ না থাকলে যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছরের কারাবাস

বুধবার, ডিসেম্বর ২, ২০২০,২:০৪ অপরাহ্ণ
0
24

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রাথমিক অর্থ ৩০ বছর কারাদণ্ড। সেই ক্ষেত্রে একজন আসামি রেয়াতের সকল সুবিধা পাবে। তবে দেশের কোনো আদালত, ট্রাইবুনাল বা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার রায়ে যদি উল্লেখ করে যে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অর্থ আমৃত্যু কারাদণ্ড। সেই ক্ষেত্রে আসামিকে স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত কারাভোগ করতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে রিভিউ আবেদনটি নিষ্পত্তি করে এ রায় দিয়েছেন।

ঘোষিত রায়ে বলা হয়, প্রাথমিক অর্থে যাবজ্জীবন কারাবাস মানে কোনো দণ্ডিতের বাকি জীবন। ফৌজদারি কার্যবিধি ও দণ্ডবিধির এ-সংক্রান্ত বিধানগুলো একসঙ্গে পড়লে যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছরের কারাবাস। তবে আদালত, ট্রাইব্যুনাল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কাউকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হলে সেই দণ্ডিত ব্যক্তি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫-এ ধারার সুবিধা পাবেন না।

রিভিউ আবেদনকারীর আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘যাবজ্জীবন সাজা হলে দণ্ডিত ব্যক্তিকে ৩০ বছর কারাগারে থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে তিনি রেয়াতি সুবিধা পাবেন। আমৃত্যু কারাদণ্ড হলে দণ্ডিত কোনো রেয়াত পাবেন না।’

যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা বিভ্রান্তিতে ছিলেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অর্থ আমৃত্যু কারাদণ্ড, নাকি ৩০ বছর কারাদণ্ড হবে, নাকি অন্য কোনো সিদ্ধান্ত আসবে, তা জানা গেল এ রায়ের মধ্য দিয়ে। এই রায়ের মধ্য দিয়ে বিভ্রান্তির অবসান ঘটলো মনে করেন আইনজীবীরা।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে