[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ এর সাথে গতকাল টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন সেন্টার (জাইস) এর প্রেসিডেন্ট সাচিকো ইয়ামানো সাক্ষাৎ করেন।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য জাইসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। জাপানে উচ্চশিক্ষা শেষ করে জেডিএস ফেলোগণ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে সুনামের সাথে কাজ করছেন। জেডিএস ফেলোগণ তাঁদের অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে বলে রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন।
এবছর জেডিএস প্রোগ্রামের তৃতীয় পর্ব সমাপ্ত হবে। চতুর্থ পর্ব যথাসময়ে শুরু এবং এর পরিধি ও সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য জাইসের প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ জানান তিনি।
জাইসের প্রেসিডেন্ট বলেন, জাইস ও বাংলাদেশ দূতাবাস দুদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কোন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে আরো গভীরভাবে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করবে। পরে তিনি মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে দূতাবাসে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ পরিদর্শন করেন এবং পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রদূত তাকে জাপানি ভাষায় প্রকাশিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও মুজিববর্ষের স্মারক উপহার দেন।
উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে জাইস, জাপান সরকারের ওডিএ অর্থায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস, বিচার বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জন্য হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ বাই জাপানিজ গ্রান্ট এইড (জেডিএস) প্রদান করে আসছে। প্রতি বছর ৩০ জন কর্মকর্তা জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রশাসন, অর্থনীতি, আইন, ফিন্যান্স ইত্যাদি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স সম্পন্ন করেন। এছাড়া সাম্প্রতিককালে জাইস জেডিএস ফেলোদের জন্য পিএইচডি প্রোগ্রামও চালু করেছে। এখন পর্যন্ত মোট ৪১৭ জন কর্মকর্তা মাস্টার্স কোর্স এবং ৯ জন কর্মকর্তা পিএইচডি কোর্সে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছে।
জাইসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইশিরো জুন, উপপরিচালক সাকুরাই তাকিইউকি এবং দূতাবাসের ইকনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।