[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জে ২০ হাজার ৬শ’ দুস্থ পরিবারকে রোজার খাদ্যসামগ্রী কিনতে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কোটি ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। এই টাকা প্রদান করা হবে মোবাইল অ্যাপস বিকাশ, রকেট বা নগদ একাউন্টের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হবে সাংসদের অনুদানের এই টাকা।
মঙ্গলবার দুপুরে তিনি এই অনুদান দেয়ার ঘোষণা দেন, ফতুল্লায় রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস কারখানা উইজডম এ্যাটায়ার্সে সাংসদের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের সাথে মত বিনিয়ম শেষে।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান জানান, সিটি কর্পোরেশনের ১৭ টি ওয়ার্ডের সকল কাউন্সিলর এবং বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৭ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বারদের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ এলাকার সুবিধা বঞ্চিত দুস্থ মানুষদের তালিকা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল ও বিকাশ নম্বর সংগ্রহ করা হবে। পরে তালিকা অনুযায়ী টাকা প্রদান করা হবে।
সেলিম ওসমান বলেন, ২০ জন কাউন্সিলরের মাধ্যমে ১১ হাজার, উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ রশিদের মাধ্যমে ৭শ, দুই ভাইস চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ৪শ ও ৮শ এবং জেলা পরিষদের সদস্য আবুল জাহেরের মাধ্যমে ৫শ এবং ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ৭ হাজার পরিবারকে এসব সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়াও ডাক্তার ও নার্সদের জন্য ২০ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। সব মিলিয়ে ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা আমি আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রেরণ করবো। এ ছাড়াও রমজান মাসে যাতে করে কেউ গুজব ছড়িয়ে অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে এমন শিক্ষিত বেকার যুবকদেরও আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে ২০ জন করে মোট ৪৮০ জন যুবককে রোজার মাসের জন্য ৪ হাজার ৫শ টাকা করে সম্মানী প্রদান করা হবে।
পাশাপাশি করোনায় মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের লাশ দাফন ও দাহ করতে কাউন্সিলর খোরশেদকে ১০ লাখ টাকা এবং খানপুর ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আরো ২০ লাখ টাকা অনুদান দেয়ার কথা জানান সেলিম ওসমান।
এই সাংসদ আরো জানিয়েছেন, তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এর আগে ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলর বৃন্দদের মাধ্যমে এলাকার নিম্ন মধ্য বিত্ত প্রায় ১৩ হাজার মানুষের মাঝে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে ১০ কেজি করে ১ লাখ ৩০ হাজার কেজি চাল বিতরণ করা হয়েছে।