[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, যেকোনো দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা ও সাড়া প্রদান সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্যে বিদ্যালয়সমূহে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হবে । বিদ্যালয়সমূহে দুর্যোগ নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক তৈরিতে প্রণোদনা দেওয়া হবে । দুর্যোগ সচেতন ও মোকাবিলায় সক্ষম একটি প্রজন্ম তৈরি করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অন্তর্ভুক্ত করে দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে একটি উত্তম চর্চা সৃষ্টিতে কাজ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় একটি হোটেলে সিপিপি (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) আয়োজিত “খেলায় খেলায় দুর্যোগ প্রস্তুতি- স্কুল শিক্ষার্থীদের করণীয়” শীর্ষক সচেতনতামূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, ঘনবসতি ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট দুর্যোগের মোকাবিলা করতে হয়। দারিদ্র্য বিমোচনসহ সামাজিক নিরাপত্তা অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। এসব কারণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে শিক্ষার্থীরা দুর্যোগ ঝুঁকিসমূহ ও করণীয় সম্বন্ধে আরো বেশি সচেতন হবে । শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও প্রতিবেশীগণের মাধ্যমে সমাজে এই সচেতনতা ছড়িয়ে পড়বে। সমাজে স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব বৃদ্ধি পাবে, একটি সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্খাপনা সংস্কৃতি গড়ে উঠবে। প্রয়োজনের সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ অতি দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হবে। এই উন্নত চর্চাটি প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে বৃহত্তর শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে বলে প্রতিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।