[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি সাব্বাহ আলী খান কলিন্স ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ সানি এক যৌথ বিবৃতিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের বিপুল অংকের বেকার ও বিশ্বব্যাপী করোনা ক্রান্তিকালে দেশে কর্মহীন হয়ে পড়া বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও প্রণোদনা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর কোনো বক্তব্য না থাকায় হতাশা, দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নেতৃদ্বয় বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী শ্রমিকরা চাকরি হারাচ্ছেন এবং দেশে ফিরে আসছেন। দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশ থেকে ফেরত আসা বিশাল বেকার যুবসমাজের কর্মসংস্থানের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বা কর্মসংস্থানপূর্ব আপদকালীন সময়ে বেকারভাতা বা প্রণোদনা বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য থাকা উচিত ছিল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা মোকাবিলায় দেশের সকল নাগরিকের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্যখাতে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর হলেও তা কতটুকু সুফল বয়ে আনবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সুফল জনগণ ভোগ করবে যদি বররাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার, দুর্নীতি বন্ধ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায় এবং মেডিকেল যন্ত্রপাতি ক্রয় নীতিমালাসহ স্বাস্থ্যখাতের ব্যয়কাঠামোতে আমূল পরিবর্তন আনা যায়। কিন্তু এসব বিষয়েও অর্থমন্ত্রী নিরব। নেতৃদ্বয় বলেন সরকার যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের পথে ক্রমাগত এগিয় যাচ্ছে সে সময় মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যয়বৃদ্ধির প্রস্তাব তরুণ ও যুবসমাজের তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ঘোষিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকলেও নেই খেলাপী ঋণ আদায় এবং ঋণখেলাপীদের বিরুদ্ধে অর্থমন্ত্রী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে কোনো কথা না বলে প্রকারান্তরে ব্যাংক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া ঋণখেলাপীদের পক্ষই অবলম্বন করেছেন। যা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় ও তেলে মাথায় তেল দেয়ার সামিল। নেতৃদ্বয়, বেকার ভাতা ও শ্রমজীবী কিন্তু করোনাকালে কর্মহীন যুবদের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ প্রনোদনার জোর দাবি জানান।