[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আজহারুল ইসলাম জনি (গাজীপুর) : গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় লেখক মুশতাক আহমেদ বাথরুমে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাতে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর জন্য গত শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি ) দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি কমিটি গঠন করেন গাজীপুর জেলা প্রশাসন। গাজীপুরের ডিসি এসএম তরিকুল ইসলাম শুক্রবার রাতে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দুই সদস্যের ওই কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
দুই সদস্যের তদন্ত কমিটিকে দেয়া দুই কার্যদিবসের নির্ধারিত সময় সোমবার শেষ হয়েছে।
গাজীপুরে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে আরও ৫ দিন সময় পেয়েছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় গাজীপুর জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী ও উম্মে হাবিবা ফারজানাকে দিয়ে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তাদের দুই কার্যদিবসের নির্ধারিত সময় সোমবার শেষ হয়েছে। তদন্ত কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে কমিটিকে আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুশতাক আহমেদ বাথরুমে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাতে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর আগে তার চিকিৎসায় কোনো অবহেলা ছিল কি না মূলত তা খতিয়ে দেখতেই আভ্যন্তরীণভাবে এ কমিটি করা হয়েছে।
এছাড়া তার মৃত্যুতে অন্য কোনো কারণ আছে কি-না সেটা তার ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়ার পর চিকিৎসক/বিশেষজ্ঞরা জানাবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে কাশিমপুর কারাগারের জ্যেষ্ঠ সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের ভেতরেই মুশতাক আহমেদ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কারা হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ৮টা ২০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুশতাক আহমেদ নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
ঢাকা মেট্রোপলিটনের রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ২০২০ সালের ৬ মে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং পরে ২৪ আগস্ট থেকে তিনি কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।
শুক্রবার ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে দুপুরে পুলিশ তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।