[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পায়রায় দেশের সবচেয়ে বড় এবং অত্যাধুনিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনার সাফল্য তুলে ধরে বলেছেন, মুজিববর্ষে দেশের প্রত্যেকটি ঘর আলোকিত করেছে সরকার, এটাই সব থেকে বড় সাফল্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং মুজিববর্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে আমরা আলো জ্বালাতে পারলাম এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। আমরা আলোকিত করেছি এদেশের প্রত্যেকটি মানুষের ঘরকে।’
তিনি আজ এখানে একটি অনুষ্ঠানে ১৩শ’ ২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব আল্ট্রা-সুপারক্রিটিকাল প্রযুক্তিসহ কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।
পরিবেশবান্ধব আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির সাহায্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করার মাধ্যমে, বাংলাদেশ ‘মুজিব বর্ষে’ দেশকে শতভাগ বিদ্যুৎ কভারেজের আওতায় আনার সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করে আরেকটি মাইলফলক অর্জন করেছে।
কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্ব থমকে যাওয়ার পর এটিই প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগতভাবে প্রথম কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে সশরীরে সফর।
’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলোর এদেশকে এগিয়ে নেয়ায় কোন আন্তরিকতাই ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে ২০২২ সাল এই দীর্ঘ সময় সরকারে থাকতে পেরেছি সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি। ভোট দিয়ে আমাদেরকে তাঁরা নির্বাচিত করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এই ১৩ বছর একটানা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অব্যাহত রয়েছে, এরমধ্যে ঝড় ঝঞ্ঝা অনেক এসেছে, বাধা অনেক এসেছে কিন্তু সেগুলো আমরা অতিক্রম করেছি। এগুলো অতিক্রম করেও আমরা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছি বলেই আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ গড়ে তুলে জাতির পিতা একে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায়ে রেখে গিয়েছিলেন আজকে সেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। তিনি বলেন, ওয়াদা করেছিলাম প্রতিটি মানুষের ঘরকে আলোকিত করবো, প্রতিটি মানুষ আলোকিত হবে, সেই আলোর পথে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। আজকের দিনটা সেই আলোর পথে যাত্রা শুরু যে সফল হয়েছে সেই দিন। এজন্য সবাইকে তিনি সহযেগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে জাতির জন্য উপহার হিসেবে উল্লেখ করেন। পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সহযোগিতার জন্য চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
পায়রা ১৩শ’ ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দক্ষিণ পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার অন্তর্গত রামনাবাদ নদীর পাশে ২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ১০০০ একর জমিতে নির্মিত হয়েছে এবং এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের ১৩তম দেশে পরিণত হয়েছে।
পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ৬৬০ মেগাওয়াট ইউনিটটি ২০২০ সালের মে মাসে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়, ৪০০ কেভি পায়রা-গোপালগঞ্জ পাওয়ার ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে এবং দ্বিতীয়টি গত বছরের ডিসেম্বরে উৎপাদন শুরু করে।
১৩শ’ ২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়াও, আরেকটি পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণ কাজ চলছে এবং সরকারের আরও একটি ১৩২০ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং এখানে পায়রায় একটি সোলার সিস্টেম পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্ল্যান্টটি তৈরি করছে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি (বিসিপিসিএল), চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি) এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এর মধ্যে একটি ৫০:৫০ যৌথ উদ্যোগ।
বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড এবং এনইপিসি এবং সিইসিসি-এর কনসোর্টিয়াম পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের জন্য ২৯ মার্চ ২০১৬ তারিখে ইপিসি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ এখন ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে, দক্ষিণ এশিয়ার যে দেশগুলো তাদের জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশ এবং ৭৪ শতাংশকে বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের আওতায় এনেছে।
বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২৫,৫১৪ মেগাওয়াট হয়েছে যা ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ৪,৯৪২ মেগাওয়াট ছিল। এর মধ্যে ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে এবং ১৯,৬২৬ মেগাওয়াট স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হচ্ছে।
২০০৯ সালে, জনসংখ্যার মাত্র ৪৭ শতাংশের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ ছিল। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ২২০ কি:ও: থেকে ৫৬০ কি:ও:এ উন্নীত হয়েছে এবং বিদ্যুতের বিতরণ ক্ষতি ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে।
সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে স্থানীয় চর সোনারামপুর, আশুগঞ্জ, রাঙ্গাবালী, মনপুরা, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামফলক উন্মোচন করেন এবং শান্তির প্রতীক ১৩২০টি পায়রা অবমুক্ত করেন এবং প্লান্টের সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম ঘুরে দেখেন।
এর আগে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন হেলিপ্যাডে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী কয়লা জেটিতে পৌঁছানোর সাথে সাথে বিভিন্ন রঙে সজ্জিত ২০০ জেলে নৌকা থেকে চলন্ত পতাকা ও গান বাজিয়ে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে ‘মেমেন্টো’ উপহার দেয়া হয়। তাঁকে উৎসর্গ করে ‘ও জোনাকি কি সুখে ঐ ডানা দুটি মেলেছ’ শিরোনামে একটি গানও এ সময় পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ খাতের অগ্রগতি এবং পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি অডিও-ভিডিও উপস্থাপনাও প্রদর্শিত হয়।
পর্যটন স্পট কুয়াকাটা থেকে পায়রা পাওয়ার প্লান্ট এবং এর আশপাশের এলাকাগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজমান ছিল।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের মহাপরিচালক (ডিজি) ইঞ্জিনিয়ার এ এম খুরশেদুল আলম।
’৯৬ সালে সরকার গঠনের সময় দেশের অধিকাংশ অঞ্চল অন্ধকারে ডুবে থাকার এবং মাত্র ১৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, তাঁর সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় সেই অবস্থা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে ৪ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াট করে গিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী ৫ বছরে বিএনপি জামাত সরকার ১ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনতো বাড়াতেই পারেনি বরং কমিয়ে ফেলে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ৩ হাজার ২শ’ মেগাওয়াট থেকে তাঁর সরকার আজকে দেশকে শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় উদ্ভাসিত করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আমরা গড়ে তুলেছি, যাতে সকলের কর্মসংস্থান হতে পারে। যে দক্ষিণাঞ্চল এক সময় সব থেকে অবহেলিত ছিল সেখানে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার পাশাপাশি মানুষের চলাচল সহজ করার জন্য রাস্তা-ঘাট,পুল, ব্রীজ আমরা ব্যাপকভাবে করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি, ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দিয়েছি, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপন করেছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান সবদিকেই আমরা ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি যা জাতির পিতা করতে চেয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের অনুসরণে তাঁর সরকার ভূমিহীন গৃহহীন মানুষকে ঘর তৈরী করে দিচ্ছে। কারণ তাঁর সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে একটি মানুষও আর গৃহহীন এবং ঠিকানাবিহীন থাকবেনা বা কষ্ট ভোগ করবেনা। ‘ইনশাল্লাহ সেটাও আমরা করে ফেলবো, এতে কোন সন্দেহ নেই,’ বলেন তিনি।
এই দক্ষিণাঞ্চলের দশমিনায় বীজ গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা সহ লবণাক্ততা সহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে তাঁর সরকারের সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঝড়-জলোচ্ছাস প্রবণ এই এলাকায় এখন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। অথচ সারাবছরে এখানে একটি মাত্র ফসল উৎপাদিত হতো। আর তাও প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হলে তাদের দুর্র্ভিক্ষে পড়তে হতো। আল্লাহর রহমতে আর সে দুর্ভিক্ষ হবে না এবং মানুষকে আর কষ্ট পেতে হবেনা বরং মানুষ উন্নত জীবন পাবে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার ইতোমধ্যে রাঙ্গবালী, নিঝুম দ্বীপ, সন্দ্বীপ সহ বিভিন্ন এলাকায় নদীর নিচ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। আর যেখানে বিদ্যুতের গ্রিড লাইন নেই সেখানে সোলার প্যানেল করে দিচ্ছে। হাওড়-বাওড়, পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় এই সোলার প্যানেলের সাহায্যে বিদ্যুৎ পৌঁছ দিচ্ছে। অর্থাৎ কোন ঘর আর অন্ধকারে থাকবেনা, প্রতিটি মানুষের জীবন আলোকিত হবে।
আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করে যাতে আমাদের ছেলে-মেয়েরা এগিয়ে যেতে পারে সে পদক্ষেপ যেমনি তাঁর সরকার নিচ্ছে তেমনি দেশের যুব সমাজ লেখা পড়া শিখে যাতে নিজেরাই উদ্যোক্তা হতে পারে তার সুযোগও সৃষ্টি করে দিচ্ছে, বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেরা উদ্যোক্তা হয়ে যাতে আরো ১০টি লোককে তারা কাজ দিতে পারে সেভাবেই যুব সমাজকে চিন্তা করতে হবে। তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে।
তিনি উল্লেখ করেন, এ কারণে তাঁর সরকার দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের কল্যাণ চিন্তা করেই প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহন করছে।
তাঁর সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রকল্প সহ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরতদের অভিজ্ঞতার ভান্ডার স্ফীত হয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ভবিষ্যতে যেকোন উন্নয়ন প্রকল্প আমরা নিজেরাই বাস্তবায়ন করতে পারবো, সেই রকম অভিজ্ঞতা আমরা নিজেরাই অর্জন করছি।
প্রধানমন্ত্রী উপকুলে সবুজবেষ্টনি গড়ে তোলার এবং বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে উৎপাদনে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করার জন্য তাঁর আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি আগামী আষাঢ় মাস থেকে আওয়ামী লীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি সফল করতে দলের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি উদাহারণ দেন- ‘একটি কাঁচামরিচ গাছও যদি পারেন আপনারা লাগাবেন এবং সবাই কিছু না কিছু উৎপাদন করবেন এবং কৃষকের পাশে দাঁড়াবেন।’
তিনি করোনার সময় ধান কাটায় তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে ছাত্রলীগ সহ আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের এগিয়ে আসার প্রসংগ টেনে বলেন, এইভাবে সকল কাজে আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে যাতে বাংলাদেশ আর পেছনে না ফেরে।
সংবাদ : বাসস