মুজিবনগরে আন্তর্জাতিকমানের স্মৃতিকেন্দ্র গড়ে তুলতে প্রকল্প গ্রহণ

বুধবার, অক্টোবর ২১, ২০২০,৮:০৯ পূর্বাহ্ণ
0
79

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর মহান স্বাধীনতার অন্যতম তীর্থস্থান। ঐতিহাসিক মুজিবনগরে আন্তর্জাতিকমানের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রায় ৫৪০ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

     গতকাল মেহেরপুরে মুজিবনগর কমপ্লেক্সের পর্যটন মোটেলে ‘মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন-দ্বিতীয় পর্যায়’ প্রকল্পের স্থাপত্য পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ভার্চুয়াল-এ সভায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

          এর আগে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী মুজিবনগর কমপ্লেক্সের বিভিন্ন অবকাঠামো ঘুরে দেখেন এবং মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

          মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী জানান, ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগরে এসে দেশি-বিদেশি পর্যটকগণ যাতে মুজিবনগরে আম্রকাননের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারেন সে লক্ষ্যে  বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথের ভাস্কর্য নির্মাণ, ডিওরোমা, প্যানোরামা, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য বাগান ও ম্যুরাল স্থাপনসহ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং শিশুপার্ক স্থাপন করা হবে।

          জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, নতুন প্রজন্ম মুজিবনগর এসে মুক্তিযুদ্ধকে উপল‌দ্ধি করবে। তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জেনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাতে দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করে, সেজন্য মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলার অনুরোধ করেন। তিনি প্রকল্পে প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

          সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এখানে লাইট এন্ড সাউন্ড শো এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের হলোগ্রাফিক উপস্থাপনের অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। এছাড়া তিনি পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টিও দেখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

          মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মাদ মুনসুর আলম খান এর সভাপতিত্বে সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব তপন কান্তি ঘোষ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক স্থপতি আসিফুর রহমান ভুঁইয়াসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ভাস্কর, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে