মুগদায় করোনার ভুয়া সনদপত্রসহ জালিয়াত চক্রের ৪ জন গ্রেপ্তার

মঙ্গলবার, জুন ১৬, ২০২০,৭:৩৮ পূর্বাহ্ণ
0
25

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) পজিটিভ এসেছে কোনো ধরনের দৃশ্যমান উপসর্গ না থাকলেও। অথচ চাকরি বাঁচাতে বা অন্য প্রয়োজনে দরকার নেগেটিভ রিপোর্ট। আবার অফিস-আদালতে যোগদান করবেন না, অথবা ভ্রমণে যাবেন কিংবা সরকারি ছুটি ও বিভিন্ন প্রকার সুযোগ-সুবিধার আশা করছেন, এমন ব্যক্তিরা চান করোনা পজিটিভ রিপোর্ট। 

জালিয়াত চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে এমন দুই ধরনের অসাধু মানুষেরই চাহিদা মেটাতে। যারা টাকার বিনিময়ে করোনার নেগেটিভ বা পজিটিভ রিপোর্ট বা সনদপত্র দেওয়ার ফাঁদ পেতে বসেছে। চাহিদা অনুযায়ী যার যেমন দরকার- নেগেটিভ অথবা পজিটিভ রিপোর্ট। মুগদা জেনারেল হাসপাতালের প্যাডে ভুয়া সনদ দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৬ হাজার টাকা দিলেই।

গতকাল সোমবার দুপুরে এমন জালিয়াত চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ভুয়া সনদপত্রসহ। তারা হলেন- ফজল হক (৪০), শরিফ হোসেন (৩২), জামশেদ (৩০) এবং লিয়াকত আলী (৪৩)। তাদের কাছ  থেকে শতাধিক করোনার ভুয়া সনদপত্র, দুটি কম্পিউটার, দুটি প্রিন্টার এবং দুটি স্ক্যানার উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে র‌্যাব-৩ এর পরিচালক লে. কর্নেল রকিবুল হাসান বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের এই পরিস্থিতিতে করোনার দৃশ্যমান উপসর্গবিহীন ব্যক্তিরা করোনা টেস্টে পজিটিভ হওয়ার পরও ভুয়া নেগেটিভ সনদ নিয়ে বিভিন্ন অফিস-আদালতে  যোগদানসহ বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করছেন এবং অনেকেই আবার সরকারি ছুটি ও বিভিন্ন প্রকার সুযোগ-সুবিধা পেতে ভুয়া পজিটিভ সনদ নিচ্ছেন।

টাকার বিনিময়ে ওই ভুয়া নেগেটিভ-পজিটিভ সনদ দিচ্ছে এ ধরনের জালিয়াত চক্র। বিষয়টি নজরে আসলে করোনার ভুয়া সনদ প্রস্তুতকারী ও বিক্রয়কারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, ওই জালিয়াত চক্রটি  দেড় শতাধিক মানুষের কাছ থেকে ৬ হাজার করে টাকা নিয়ে করোনার ভুয়া নেগেটিভ ও পজিটিভ সনদ দিয়েছে। আরও শতাধিক  লোককে ভুয়া সনদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আরো পাঁচ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়েছে চক্রটি।

মুগদা জেনারেল হাসপাতালের কোনো কর্মচারী এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত কিনা জানতে চাইলে র‌্যাবের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা সেটা খতিয়ে দেখছি। তবে চক্রের সদস্যরা মুগদা হাসপাতাল থেকে দেওয়া করোনা রোগীর রিপোর্টের কপি সংগ্রহ করে তা স্ক্যান করে সেখানে নাম বসিয়ে বিক্রি করে আসছিল।

যাদের নেগেটিভ সনদ দরকার তাদের নেগেটিভ বা যাদের পজিটিভ সনদ দরকার তাদের তাই দিচ্ছিল টাকার বিনিময়ে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মুগদা থানায় মামলা দায়েরপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে