[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
রাজধানীর মুগদা থানাধীন মানিকনগর এলাকায় ‘কুমিল্লা পট্টিতে’ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় শতাধিক ঘর পুড়েছে। সব হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে নারী শিশুসহ বস্তির কয়েকশ পরিবার। তবে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আগুনে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ফয়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ডিউটি অফিসার সলিম আহমেদ জানিয়েছেন, রবিবার বিকাল পৌনে তিনটার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। মুগদা-মানিকনগরে উত্তর ওয়াসা রোডে কুমিল্লা পট্টির একটি টিনশেড ঘর থেকে ওই আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট সেখানে গিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় বিকাল পৌনে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে ততক্ষণে সেখানকার প্রায় একশ টিনশেড ঘরের অধিকাংশই পুড়ে যায়। তবে আগুন লাগার কারণ বা ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ তাত্ক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রমতে, মুগদা স্টেডিয়ামের পাশে কুমিল্লা পট্টিতে প্রায় একশ ঘর কয়েকজন মালিক মিলে বস্তির আদলে তৈরি করেছেন। সেখানে শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা বেশি। আগুনে বস্তির অধিকাংশ ঘর পুড়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন নানান সমস্যায় পড়েন। তবে ঢাকা জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা তাদেরকে সহযোগিতায় এগিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বস্তিবাসী জানান, সেখানে দুইতলা ও একতলা টিনশেডের ঘর ছিল। এছাড়া একটি রিকশার গ্যারেজও ছিল। ছুটির দিন হওয়ায় অধিকাংশ মানুষই ঘরে ছিলেন। আগুন লাগার পরই তারাও পানি দেওয়ার কাজ শুরু করেন। ওই বস্তির জায়গার মালিক অন্তত ১১ জন।
এদিকে, ঘটনার পরই স্থানীয় সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরীসহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘর হারানোদের জন্য সাংসদের পক্ষ থেকে খাওয়াসহ অন্যান্য ব্যবস্থার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
মুগদা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা বলেন, আগুনে হতাহতের কোনো খবর এখনও আমরা পাইনি। ঘটনার পরপরই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে তৎপরতা চালানো হয়।