[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
মাদারীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রী দিপ্তীর হত্যাকারীকে সনাক্ত করে মাদারীপুর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা গ্রেফতার করেছে । মাদারীপুর র্যাব ক্যাম্পে র্যাব-৮ এর কমান্ডিং অফিসার আতিকা ইসলাম সকাল সাড়ে ১০টায় প্রেস ব্রিফিং করে এ কথা জানান সাংবাদিকদের। গ্রেফতারকৃত আসামি মো. সাজ্জাদ হোসেন খানের স্বীকারোক্তি উল্লেখ করে দিপ্তীর হত্যার ঘটনা বর্ণনা করেন আতিকা ইসলাম।
র্যাব-৮এর সিইও আতিকা ইসলাম তার প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ১৩ জুলাই অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার ও পরে মাদ্রাসা ছাত্রী দিপ্তীর লাশ হিসাবে পরিচয় পাওয়ার পর থেকে মাদারীপুর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে । লাশ উদ্ধার হওয়া পরিত্যাক্ত পুকুরে ১৮ জুলাই আবার তল্লাশি করে র্যাব। সেখান থেকে এইটি ব্যাগে পাওয়া যায় দিপ্তীর পোষাক । এই সূত্র ধরে র্যাব শুরু করে ব্যাপক তদন্ত । তাদের তদন্তে ১৯৯২ সালে শিশু হত্যা করার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাভোগ করে ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া ইজিবাইক চালক মো. সাজ্জাদ হোসেন খানের জড়িত হওয়ার সন্দেহ হয়। তাই সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে র্যাব ক্যাম্পে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সাজ্জাদ র্যাবের কাছে দিপ্তীকে ধর্ষণ ও হত্যা করার কথা স্বীকার করে।
সাজ্জাদ হোসেনের স্বীকারোক্তির কথা উল্লেখ করে র্যাব-৮ এর কমান্ডিং অফিসার আতিকা ইসলাম জানান, ১১ জুলাই বোনের বাসা থেকে শহরের চরমুগরীয়ায় চাচার বাসায় যাওয়ার জন্য ইটেরপোল এলাকা থেকে একটি ইজিবাইকে ওঠে। ইজিবাইকে আর কোন যাত্রী না থাকায় এবং প্রচুর বৃষ্টি থাকায় ইজি বাইক চালক সাজ্জাদ জোর করে নিজের বাসায় নিয়ে যায় দিপ্তীকে। সেখানে দিপ্তীকে ধর্ষণ করে হত্যা করে। পরে লাশটি গুম করার জন্য বিদ্যুতের তার দিয়ে কয়েকটি ইটসহ দিপ্তীর পোষাকবিহীন লাশটি বেধে ফেলে দেয় পরিত্যাক্ত পুকুরে । দুই দিন পর লাশটি ভেসে উঠলে সামনে চলে আসে দিপ্তী হত্যার ঘটনাটি ।
উল্লেখ্য, ১৩ জুলাই মাদারীপুরের পূর্ব খাগদি এলাকার একটি পরিত্যাক্ত পুকুর থেকে নগ্ন ও বিকৃত অবস্থায় এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরের দিন দিপ্তীর বাবা হাসপাতালে এসে লাশটি তার মেয়ে দিপ্তীর বলে নিশ্চিত করে এবং অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করে মাদারীপুর সদর থানায় ।