[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চান্দগাঁও ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এসরারুল হক বলেছেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্মীয় ঐক্যের কথা বলে সব বাঙালীদের বিভ্রান্ত করা যায়নি। একাত্তরে জামায়েতে ইসলামীর পত্রিকা “সংগ্রাম” এ বারবার লেখা হয়েছে, পাকিস্তান না থাকলে ইসলাম থাকবে না। কিন্তু এদেশের মানুষ সে কথা বিশ্বাস করেনি, বেশিরভাগ মানুষ এতে বিভ্রান্তও হয়নি। ধর্মের কথা বলে পাকিস্তান টিকিয়ে রাখা যায়নি। মানুষ ধর্মভিত্তিক রাজনীতি গ্রহণ করেনি। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) কে এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেন শান্তি ও কল্যাণের জন্য। তাঁর আদর্শই আমাদের জীবনে অনুসরণীয়। তাঁর বাণী বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।
গত ২৩ অক্টোবর শনিবার রাতে চান্দগাঁও এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম নগরে অবস্থানরত রাঙ্গুনিয়া থানাস্থ সরফভাটা সমিতি চট্টগ্রাম’র উদ্যোগে পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (স:) উদযাপন উপলক্ষে নূরানী মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার বলেন, যুগে যুগে মানুষকে সঠিকভাবে পরিচালিত করার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা নবী রসুল পাঠিয়েছেন। আমাদের প্রিয়নবী রসুলে করিম হযরত মুহাম্মদ (স:) তাঁদের মধ্যে শেষ ও শ্রেষ্ঠ। সমগ্র মানবজাতির কল্যাণেই উৎসর্গকৃত তাঁর বর্নাঢ্য ও কর্মময় জীবন। তিনি শিখিয়েছেন সামাজিক ন্যায় বিচার, পরষ্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও ভালবাসা। মানুষকে সংযমী হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন, তেমনি ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি এসবের চর্চা করেছেন। তাঁর কাছে মানুষ ছিল সৃষ্টির সেরা জীব, আশরাফুল মাখলুকাত। সমিতির সভাপতি কাজী শামসুল হুদা নাসিমের সভাপতিত্বে ও সমিতির সহ-সভাপতি মো. শফিউল আজমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী উদযাপন কমিটির আহবায়ক মো. শাহাদাত হোসেন সাজ্জাদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সরফভাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, চসিক কর কর্মকর্তা জানে আলম, বিশিষ্ট ব্যাংকার জনাব ওসমান গণি চৌধুরী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মিলাদুন্নবী উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব কাজী মাওলানা এ.কে.এম সাইফুদ্দিন মামুন, সরফভাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রউফ মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব, আলহাজ্ব মো. জসিম উদ্দিন, আবদুল মান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক মোহাম্মদ আজিজ, নিজামুল ইসলাম সরফী, জাহেদুল ইসলাম সিকদার মানিক, শামসুল আলম, মোহাম্মদ ইউনুছ, এম. কেফায়েত উল্লাহ, সাবেক কাউন্সিলর বেগম রেখা আলম, মিসেস ঝুমা, সৈয়দ আতিকুর রহমান, মো. জাসেদ চৌধুরী, মো. মোর্শেদ কামাল, এম. আনোয়ারুল ইসলাম তালুকদার, মো. হাশেম, মো. আবু তাহের, মো. আবদুল মান্নান, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী সুজা প্রমুখ। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা জহুরুল আনোয়ার।