[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, গত এক মাস দেশব্যাপী ভ্যাকসিন প্রদানের সাফল্যে বাংলাদেশের প্রশংসা কেবল দেশেই নয়, বিদেশ থেকেও হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশের ৪৫ লাখ ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছে এবং ইতোমধ্যেই ৩৩ লাখ ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে। দেশের ১ হাজার ৭টি ভ্যাকসিন বুথে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। আগামী জুলাই পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে কোভ্যাক্স এর ১ কোটি ৯ লাখ ভ্যাকসিনসহ মোট ৪ কোটি ভ্যাকসিন প্রদানের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন প্রদানে বিশ্বের বহু দেশ এখনও হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু দেশের স্বাস্থ্যখাত এক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত যথেষ্ট সফলতা দেখিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে পারলে আগামীতেও ভ্যাকসিন প্রদানে দেশের সুনাম অক্ষুন্ন থাকবে।
গতকাল সচিবালয়ে ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডিপ্লয়মেন্ট ও ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ে এক বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ভ্যাকসিন প্রদানে ভবিষ্যতে যাতে কোন রকম সমন্বয়হীনতা দেখা না দেয় সেজন্য প্রতি ১৫ দিন পর পর সচিবালয়ে অন্তত একটি করে ভ্যাকসিন আপডেট সভা করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরবর্তী ধাপে দেশের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট একটি অংশসহ দেশে থাকা বিদেশি নাগরিকদের, বিভিন্ন বন্দরে কর্মরত ব্যক্তিদের, দেশের পাঁচ তারকা হোটেলে কর্মরত ব্যক্তিদেরকেও ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আগামীতে আরো ভ্যাকসিন ক্রয় করতে বিশ্বের বিভিন্ন সহযোগী সংস্থাসমূহ প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা প্রদানে আগ্রহ দেখিয়েছে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় উল্লেখ করেছেন। ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন হাতে চলে এলে ভ্যাকসিন প্রদানে ৪০ বছরের বাধ্যবাধকতা কমিয়ে আনা হতে পারে বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
এসময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।