ভোটার বা আইডি কার্ড ছাড়াই যে-কেউ তালিকাভূক্ত হতে পারবেন

রবিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২০,১:৩০ অপরাহ্ণ
0
87

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা ভোটার কার্ড না থাকলেও সরকারি ত্রাণ পাওয়া যাবে বলে সরকারের এই ঘোষনা বাস্তবায়নে নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তালিকা তৈরীর প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ. ম. নাছির উদ্দীন। কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে এই নির্দেশনায় তিনি বলেন, নগরীতে অবস্থানরত নিম্নজীবী, বেকার শ্রমিক, চা দোকানদার, রেস্টুরেন্ট শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, মোটরযান শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক ও কৃষি শ্রমিক, দোকান কর্মচারী যে-যেখানে অবস্থান করছেন সেই ঠিকানানুযায়ী ত্রাণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং কোন অস্বচ্ছল পরিবার যাতে বাদ না পড়ে সেই দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে হবে।

এক্ষেত্রে যাতে আইডি কার্ড না থাকা-অন্য আঞ্চলিক অবস্থান বা ভোটার না হওয়া- এসব-আমলে না এনে সরকারি ত্রাণ প্রাপ্তির হালনাগাদ তালিকা তৈরী এবং সকল নাগরিকের ঘরে ঘরে যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি ত্রাণ-সামগ্রী পৌঁছে যায় সেজন্য কাউন্সিলরদের করিৎকর্মা হয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি প্রান্তিক স্তরে খাদ্য সহায়তায় সরকারি ওএমএস চাল বিতরণের কার্ড তৈরী এবং সরকারি নির্দেশনার অন্যান্য দিক তুলে ধরে বলেন, কার্ডপ্রাপ্ত সেবা গ্রহীতারা প্রতি মাসে ১০ টাকা মূল্যে মাসিক ২০ কেজি চাল সংগ্রহ করতে পারবেন। এবং তা সরকার নিয়োজিত ডিলারদের কাছ থেকেই তুলে নিতে হবে। ওএমএস-এ কার্ড তালিকায় চট্টগ্রাম নগরীতে শুধুমাত্র আন্দরকিল্লা ও জামাল খান ওয়ার্ডে ২ শত করে পরিবার অন্তর্ভূক্ত হবেন। অন্য ওয়ার্ডগুলোর প্রতিটিতে ৪ শত করে পরিবারকে ওএমএস কার্ড তালিকায় অন্তভূক্ত করা হবে। ওএমএস কার্ড প্রত্যাশীদের প্রত্যেককে ২ কপি ছবিসহ আইডি কার্ডের ফটোকপি সংযোজন করে তালিকা প্রস্তুত করার জন্য কাউন্সিলরদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন সিটি মেয়র। তিনি ওএমএস’র চাল নিয়ে যাতে করে নয়-ছয় না হয় এবং এই ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্টরা চাল আত্মসাৎ অপচেষ্টায় যাতে লিপ্ত না হয় সে ব্যাপারে সুতীক্ষ্ণ নজরদারী রাখার জন্য কাউন্সিলরদের পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম বা দূর্নীতি পরিলক্ষিত হলে তা সিটি কর্পোরেশন ও সংশ্লিষ্ট তদারকি সংস্থাকে অবহিত করতে হবে। তিনি কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, কর্পোরেশন থেকে সরকারি ত্রাণ-সামগ্রী বুঝে নেয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তা তালিকাভূক্ত ত্রাণ-সামগ্রী গ্রহীতাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। এ ছাড়াও ত্রাণ গ্রহীতাদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নেয়া সহ তারা যেন ঘরে অবস্থান করে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা এবং সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে নেয় এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজিয়ে রাখার ব্যাপারে কাউন্সিলরদের ডোর-টু ডোর ক্যাম্পেইন চালিয়ে যেতে সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন উপদেশ দেন।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে