ভূরুঙ্গামারীতে নির্যাতনের অভিযোগে প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা!

মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৮, ২০২০,৫:৪৫ অপরাহ্ণ
0
286

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় নির্যাতনের অভিযোগে প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে প্রেমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বলদিয়া গ্রামের পালপাড়া গ্রামে।

জানা গেছে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের মধ্যভরতেরছড়া গ্রামের এক স্কুল ছাত্রীর সাথে পালপাড়া গ্রামের মৃত. আয়নাল হকের ছেলে সেনাসদস্য আনোয়ার হোসেন (২৩) এর সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে।

নির্যাতনের শিকার ওই প্রেমিকা জানায়, আনোয়ার হোসেন বিভিন্ন সময় তার আত্বিয়র বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনৈতিক কাজে তাকে বাধ্য করেছে। এদিকে আনোয়ার হোসেন এবার ছুটিতে বাড়িতে এসে অন্যত্র বিয়ে করার জন্য মেয়ে দেখতে থাকে।

গত ১ এপ্রিল ওই প্রেমিকা বিয়ের দাবী নিয়ে ওই বাড়িতে আসলে আনোয়ার হোসেন এবং তার পবিবারের সদস্যরা তাকে মারপিট করে বাইরে ফেলে রেখে সদর দরজা লাগিয়ে দেয়। এলাকাবাসী ওই স্কুল ছাত্রীর অভিভাবককে সংবাদ দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে।

বিষয়টি মিমাংসার জন্য বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান আনোয়ার হোসেনর পরিবারের সাথে কয়েকদফা বৈঠক করে ব্যর্থ হয়।

পরের দিন ওই স্কুল ছাত্রীর অভিভাবকরা কচাকাটা থানায় মামলা করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর তারা ৬ এপ্রিল কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের নিকট প্রতিকার চেয়ে আবেদন করে নির্যাতিত স্কুল ছাত্রীর বড়ভাই জাহিদুল ইসলাম। এর প্রেক্ষিতে কচাকাটা থানা পুলিশ গত ১৪ এপ্রিল আনোয়ার হোসেন, তার মা আনোয়ারা বেওয়া (৫৮), রেহানা পারভীন (২৮) এবং আলেয়া বেগমকে আসামী করে ২০০৩ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (৪) (খ)তৎসহ ৩২৩ ধারায় মামলা দায়ের করে যার নং-২২৬ তারিখ: ১৪/০৪/২০২০ ইং।

এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ভুরুঙ্গামারী-কচাকাটা সার্কেল) মুহম্মদ শওকত আলী বলেন, ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং আসামীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে