[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
করোনাভাইরাসে যদি বাংলাদেশের কোন ভিআইপি, বিত্তশালী এবং দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকেরা আক্রান্ত হন, তাহলে তাদের জন্য আলাদা হাসপাতাল প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এজন্য ঢাকার একটি হাসপাতাল নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং বেসরকারি কয়েকটি বড় হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সাথে এ নিয়ে কথাবার্তা চলছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
তবে তথ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিবিসিকে পাঠানো এক চিঠিতে এই ব্যবস্থার কথা অস্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার বলেছেন, প্রকাশিত সংবাদটি ‘সঠিক তথ্য নির্ভর নয় এবং ভুল।’
”ভুল তথ্য সম্বলিত সংবাদটি প্রকাশের কারণে জনগণের মধ্যে অহেতুক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
”প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশ সরকারের ভিআইপিদের করোনা ভাইরাসজনিত চিকিৎসার জন্য পৃথক কোন হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা সৃষ্টি করার কোন পরিকল্পনা নাই এবং তা করাও হয়নি,” মি. সরকার তার চিঠিতে বলেন।
এর আগে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, বিদেশী কূটনীতিকদের জন্য শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল নির্ধারণ করা আছে।
”পরে আমরা চিন্তা করেছি এটাও হতে পারে যে সরকারি কর্মকর্তা, চিকিৎসক আক্রান্ত হল, তাদেরও ওখানে নেয়া যেতে পারে,” বলছিলেন মি. রহমান।
মি. রহমান আরো জানান সমাজের বিত্তশালীদের জন্য বড় প্রাইভেট হাসপাতাল নির্ধারণ করা যায় কি না, তা নিয়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে আলাপ চলছে।
সরকারের মন্ত্রী বা রাজনীতিবিদরাও কি এখানে যাবেন? এ’প্রশ্নের কোন জবাব তিনি দেননি।
তীব্র প্রতিক্রিয়া
তবে ভিআইপিদের জন্য আলাদা হাসপাতাল প্রস্তুত করা আর সেসব হাসপাতালগুলোর নাম গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ফেসবুকে বাংলাদেশ মেডিকেল সংবাদ নামে একটি গ্রুপের পোস্টে একজন লিখেছেন, “ভিআইপিরা শুধু বাঁচার অধিকার রাখেন!”
এই উদ্যোগকে ‘সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল’ বলে পোস্ট দিয়েছেন একজন আইনজীবী।
সংবাদ : বিবিসি বাংলা