[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অকৃত্রিম। এটির সাথে অন্য কারোর সম্পর্কের তুলনা হয় না।
গতকাল তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশের বিদায়ি সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। তথ্যসচিব কামরুন নাহার এসময় উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী জানান, এটা হাইকমিশনারের বিদায়ি সাক্ষাৎ ছিল এবং তিনি সচিব মর্যাদায় পদোন্নতি পেয়ে দিল্লী যাচ্ছেন। তাঁর এ পদোন্নতিতে আমার আন্তরিক অভিনন্দন।
তথ্যমন্ত্রী এসময় সদ্যপ্রয়াত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন ও তাঁর প্রয়াণে আবারো গভীর শোক জানান। মন্ত্রী বলেন, ভারতের পাশাপাশি আজ বাংলাদেশেও প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হচ্ছে।
ড. হাছান বলেন, হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশের ঢাকা অবস্থানকালে আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে। বিশেষ করে বহু বছরের আলাপ আলোচনার পর গতবছর থেকে ভারতে প্রথমবারের মতো আমাদের বিটিভি পুরো ভারতবর্ষে ফ্রি ডিশের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। একইসাথে বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠানমালাও সেখানে সম্প্রচার হচ্ছে। এগুলো বড় কাজ, বহু বছর ধরে যা নিয়ে আলাপ আলোচনা চললেও আগে জট খোলেনি। সমস্ত জট খুলে এগুলো করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি বায়োপিক নির্মিত হচ্ছে। কোভিডের কারণে এর কাজ আপাতত বন্ধ আছে তবে খুব সহসাই কাজ শুরু হবে। এছাড়া দু’দেশের যৌথ প্রযোজনায় মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি ডকুমেন্টরি ফিল্মও শুরু হবে বলে জানান তিনি।
রীভা গাঙ্গুলী দাশ এসময় বলেন, প্রণব মুখার্জি মারা গেছেন, সেজন্য ভারতে রাষ্ট্রীয় শোক চলছে। আজ বাংলাদেশেও রাষ্ট্রীয় শোক চলছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশের খুবই বড় বন্ধু ছিলেন। বাংলাদেশে ৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত কাজ করার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তখন প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশে এসেছিলেন। তাঁর সাথে নোয়াখালীতে গান্ধী আশ্রমে যাওয়ার খুব ভালো একটা স্মৃতি আছে বলে রীভা গাঙ্গুলী জানান।
আগামী বছর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর এবং দু’দেশের সম্পর্ক অনেক প্রাচীন হলেও ২০২১ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ৫০ বছর হবে। দু’দেশের অনেক ক্ষেত্র আছে যেখানে দুই দেশ একসাথে কাজ করতে পারে বলেন, হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী ভারতের বিদায়ি হাইকমিশনারকে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক তিনটি গ্রন্থ ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা হস্তান্তর করেন এবং রীভা গাঙ্গুলীও মন্ত্রীর হাতে স্মৃতিস্মারক তুলে দেন।