ভাগিনা বউকে ধর্ষণের অভিযোগে মামা জেলে

বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০,১২:১১ পূর্বাহ্ণ
0
92

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

সিরাজুল ইসলাম, লালমনিরহাট প্রতিনিধি : বুড়িমারী স্থলবন্দরে খন্দকার হোটেলের মালিক আক্তার হোসেন খন্দকার ৩২ তার নিজ বাসায় গত ০৮-০৯-২০২০ ইং তারিখে রাতে তার ভাগিনা বউ মোছাম্মদ আরজিনা বেগম ২৩ কে জোরপূর্বক রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে।

বিষয়টি ঘটনাস্থলে লোকমুখে জানা যায়, গত ০৮-০৯-২০২০ তারিখে মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান ২৬ পিতা পিতা নূর হোসেন গ্রাম গড্ডিমারী মিলন বাজার উপজেলা হাতীবান্ধা তার স্ত্রী মোসাম্মৎ আরজিনা বেগম কে নিয়ে তার মামার বাসায় বেড়াতে আসে, তার মামা বুড়িমারী স্থল বন্দর খন্দকার হোটেলের মালিক, তিনি আক্তার হোসেন খন্দকার (৩২) পিতা নেতার উদ্দিন খন্দকার, গ্রাম মধ্যে গড্ডিমারী মিলন বাজার উপজেলা হাতীবান্ধা, তিনি বহুদিন ধরে বুড়িমারীতে হোটেল ব্যবসা করে আসিতেছে। গত ০৮-০৯-২০২০ইং তার ভাগিনা বউকে নিয়ে তার বাসায় বেড়াতে আসে এবং আর ভাগিনা বউকে রেখে সেদিন সন্ধ্যায় জরুরী কাজ আছে বলে বাড়িতে চলে যায় তাকে রেখে, সেই সুযোগে তার মামা শ্বশুর খন্দকার গভীর রাতে আরজিনা বেগম কে নিজ ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

এ বিষয়টি আরজিনা বেগম তাঁর স্বামী আতিয়ার রহমান কে বলে কিন্তু তিনি কিছুতেই বিশ্বাস করেননি। আর স্বামী তাকে সাবধান করে দেয় ভবিষ্যতে যেন এরকম জঘন্য অভিযোগ তার পরিবারের সঙ্গে না করে।

এরপর আর্জিনা বেগম বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেন, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বুড়িমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ নিশাত দুই পক্ষকে ডেকে বিচারের ব্যবস্থা করেন কিন্তু উৎসুক জনতার ভিড়ে বিচারকার্যে সমস্যা হওয়ার কারণে এবং উৎসুক জনতার মারমুখী মনোভাব দেখে তিনি পাটগ্রাম থানায় খবর দেন , এবং পাটগ্রাম থানার পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।এবং পরে আর্জিনা বেগম বাদী হয়ে আক্তার হোসেন খন্দকারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ৯/৩০ ধারায় মামলা করেন।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার্স ইনচার্জ জনাব সুমন কুমার মহন্ত বলেন,তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ৯/৩০ ধারায় মামলা হয়েছে এবং আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে