[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা না থাকায় বারবার সময় দিয়েও বিপিএল সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিব কোথায় আছেন, জানেন না কাউন্সিলেরই সদস্য জালাল ইউনুস। এ বোর্ড পরিচালক জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত বিপিএল আয়োজনের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বোর্ড সভাপতি। ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, লোকমানকে গ্রেপ্তারের পর অন্য কয়েকজন পরিচালক বোর্ডের কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছেন।
পরিচালক লোকমানের ক্যাসিনোকাণ্ডের পর টালমাটাল বিসিবি। ভেতরে-বাইরে যে অস্থিরতা সেটা টের পাওয়া যাচ্ছে কর্তাদের বক্তব্যে। বিপিএল নিয়ে সক্রিয় থাকার কথা গভর্নিং কাউন্সিলের। কিন্তু, কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ সোহেল আর সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকের হদিস নেই। একই কমিটির সদস্য জালাল ইউনুসই জানেন না তারা কোথায় আছেন।
বিপিএল সভা করার কথা ছিল গেল সপ্তাহে। সেটাও হয়নি। শুক্রবার বোর্ডসভাপতি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেছিলেন, রোববারই তিনি জানাবেন বিস্তারিত। সে কথাও তিনি রাখতে পারেননি। এবার জালাল ইউনুস বলছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে তারা বসবেন। এ বোর্ড পরিচালকের কথায় বেরিয়ে এলো। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের নিষ্ক্রিয়তায় শেষ পর্যন্ত বিপিএল আয়োজনের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে বোর্ড সভাপতিকেই।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্যাসিনোকাণ্ডের পর গা বাঁচিয়ে চলছেন বোর্ডের কোনো কোনো পরিচালক। যার প্রভাব পড়ছে বোর্ডের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে। সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক বর্ষণ কবির বলেন, এই ব্যাপারটা আসলে বেশি স্পর্শকাতর হয়ে গেছে। ইমেজ সংকটের মধ্যে কেউ কারও নাম জড়াতে চাচ্ছেন না। এজন্য সবাই গাঁ বাঁচিয়ে চলতে চাচ্ছেন।
সময় মতো বিপিএল অনুষ্ঠিত হলে, হাতে সময় আছে দুইমাসেরও কম। ফলে আগামী ক’দিনমধ্যে জানা যাবে কোন পথে হাঁটছে বিসিবি।