[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
নারী জাগরণের অগ্রদূত মহিয়সী বেগম রোকেয়ার গ্রাম পায়রাবন্দে এখনও অনেক নারী শিক্ষাবঞ্চিত, নিরক্ষর। এখনও অনেকে বাল্যবিয়ের অভিশাপে শৈশব-কৈশোরে তছনছ হচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, নারী শিক্ষার বৈষম্য দূর করতে রোকেয়ার দর্শনের ভিত্তিতে পায়রাবন্দকে মডেল হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে।
উপমহাদেশে মুসলিম নারী জাগরণের দ্যূতি ছড়িয়েছিলেন বেগম রোকেয়া। অথচ আলোর নিচে অন্ধকারের মতো শিক্ষাহীন জীবনের বঞ্চনা আর বল্যবিয়ের অভিশাপে এখন দীর্ঘশ্বাস ফেলে রোকেয়ার গ্রাম পায়রাবন্দের নারীরা। তারা বলছেন, রোকেয়ার উপলব্ধি-দর্শন দেশের নারীদের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় কাজে লাগানো যায়নি। রোকেয়া গবেষক রফিকুল ইসলাম দুলাল বলেন, নারীরা উপেক্ষিত ছিল। তাদের আবার মানুষের কাতারে নিয়ে এসেছিলেন বেগম রোকেয়া।
মহিয়সী এ নারীর নামে বিশ্ববিদ্যালয় আর তার জন্মস্থানকে ঘিরে স্মৃতি ও গবেষণা কেন্দ্র করা হলেও সে সবের ব্যর্থতা স্বীকার করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত সপ্তাহে প্রকাশিত ইউনেস্কোর এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় মেয়েদের এগিয়ে থাকার কথা বলা হলেও বয়স্ক নারী-পুরুষ, শহর ও গ্রামাঞ্চলের ক্ষেত্রে বড় বৈষম্য ফুটে উঠেছে। ৬০ বছর বয়সের পুরুষরা শহরে ৫৮ ভাগ ও গ্রামাঞ্চলে ৪০ ভাগ শিক্ষিত, পক্ষান্তরে নারীদের এই হার মাত্র ২৪ ও ১২ শতাংশ উল্লেখ করা হয়েছে।