[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ‘বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস’-২০২০ উপলক্ষ্যেনিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়াধীন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় পাঁচ বছর অন্তর বাংলাদেশেও তৃতীয়বারের মতো ’বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস-২০২০’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
পরিসংখ্যান উন্নয়ন ও অগ্রগতির পরিমাপক। আর্থসামাজিক সকল কর্মকাণ্ডের গতি-প্রকৃতি নির্ণয় ও উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম। মূলত সঠিক পরিসংখ্যানই কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নের পূর্বশর্ত। অর্থনৈতিক, জনমিতিক, সামাজিক সকল ক্ষেত্রে পরিমাণগত ও গুণগত পরিমাপে পরিসংখ্যানের ব্যাপক ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।
বর্তমান বিশ্বে সরকারি ও বেসরকারি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নের ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেকোনো দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সঠিক ও সময়োচিত পরিসংখ্যানের ব্যবহার অপরিহার্য। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রতিটি সেক্টরে নির্ভুল ও সময়ানুগ পরিসংখ্যানের প্রয়োগ দেশকে দ্রুত উন্নয়নশীল থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ২০২০ এর প্রতিপাদ্য বিষয় ‘Connecting the world with data we can trust’ অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোর প্রকৃত উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরতে পরিসংখ্যানের বিকল্প নেই। সরকার পরিসংখ্যান কার্যক্রমকে আধুনিকায়ন করে তা জাতীয় উন্নয়নে ব্যবহারের বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। আমি জেনে খুশি হয়েছি যে, জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যবস্থার উন্নয়নে ‘পরিসংখ্যান আইন ২০১৩’ ও এতদসংক্রান্ত জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। আমি আশা করি বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস পালনের মধ্য দিয়ে দেশের সকল খাতে পরিসংখ্যানের প্রয়োগ বৃদ্ধি পাবে যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হবে।
আমি ‘বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ২০২০’ উদ্যাপনের সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”