[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ৫ জুন ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“পরিবেশ দূষণরোধ ও পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
মানবসম্প্রদায় ও প্রাণিকূলের অস্তিত্বের জন্য দূষণমুক্ত নির্মল পরিবেশের বিকল্প নেই। কিন্তু মানবসৃষ্ট বিভিন্ন উপায়ে আমরা প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষণ করছি। জনসংখ্যার তুলনায় আমাদের দেশের ভূমিসম্পদ অত্যন্ত সীমিত। খাদ্য নিরাপত্তা, আবাসন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য যথাযথ ভূমি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাবের কারণে ভূমির অবক্ষয় ঘটছে। ক্ষয়প্রাপ্ত ভূমি পুনরুদ্ধার, মরুময়তার বিরুদ্ধে লড়াই এবং খরা সহনশীলতা বৃদ্ধি করা আমাদের অস্তিত্বের জন্য জরুরি। আামদের খাদ্য নিরাপত্তা এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ভূমির টেকসই ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিতে ভূমি প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার এবং সংরক্ষণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। প্রেক্ষিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘Land restoration, desertification and drought resilience’ যার ভাবার্থ ‘করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা’ তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
ভূমি পুনরুদ্ধার, মরুময়তা রোধ এবং খরা সহিষ্ণুতা অর্জনে ঐতিহ্যগত ও প্রথাগত জ্ঞানের সাথে বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানকে একীভূত করে উদ্ভাবনী ভূমি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও, অবক্ষয়প্রাপ্ত ভূমি পুররুদ্ধারে বৃক্ষরোপণসহ টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হলে জীববৈচিত্র্য যেমন সুরক্ষিত হবে, তেমনি এর মাধ্যমে জনগণের নিরাপদ জীবিকা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। তাহলেই আগামী প্রজন্মের জন্য সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা বিধান করা সম্ভব হবে।
‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৪’ উদ্যাপন সফল হোক– এ কামনা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবি হোক।”