[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বিশ্বকাপের সময় উৎসবের আমেজ চলে বাংলাদেশে। প্রায় সব জায়গায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে ফুটবল। এবার মরুর দেশ কাতারে আয়োজিত হয়েছে বিশ্বকাপ ২০২০। সেই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশে। বিশ্বকাপ উপলক্ষে তিনটি বড় পর্দা (জায়ান্ট স্ক্রিন) বসানো হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ ও টিএসসি এলাকায়। এ ছাড়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে খেলা দেখানো হচ্ছে প্রতিটি হল ও আশপাশের এলাকায়। খেলা দেখতে পর্দার সামনে উপস্থিত থাকছেন হাজারো দর্শক। তবে শক্তিমত্তার বিচারে যেসব দেশ এগিয়ে আছে, তাদের ম্যাচ চলাকালে দর্শকের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা উৎসবস্থলে পরিণত হয়।
খেলা দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি পথশিশু, রিকশাচালক, চাকরিজীবী, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ জড়ো হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। এ সময় সমর্থকদের মধ্যে চলে আলোচনা, বিতর্ক আর ফলাফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী।
পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার মতো দলগুলোর খেলার সময়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের এলাকা থেকে প্রিয় দলের সমর্থনে মিছিল ও পতাকা উড়িয়ে স্লোগান দিতে দিতে পর্দার সামনে আসতে দেখা যায় লোকজনকে। খেলা শুরুর পরপর সবার মনোযোগ থাকে বড় পর্দার দিকে। আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ, ট্যাকেল, ডিফেন্ডিং—সব কিছুতেই দর্শকদের উল্লাস শোনা যায়। তবে প্রিয়দল গোল করলে বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে ওঠে সমর্থকরা।
গত রবিবার দিবাগত রাত ১টায় আর্জেন্টিনা বনাম মেক্সিকোর খেলায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হাজার হাজার লোকের সমাগম হয়। জয়ের পর আর্জেন্টিনার সমর্থকরা জয়োল্লাস করে।
গতকাল রাত ১০টায় ছিল ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ডের খেলায় দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সমর্থকরা আসতে শুরু করে। এ সময় অনেকে ব্রাজিলের পতাকা নিয়ে মিছিল করে। বেশ কয়েকজন সমর্থককে ভুভুজেলা বাজাতে দেখা যায়।
দর্শকরা বলছে, জায়ান্ট স্ক্রিনে সবার সঙ্গে খেলা উপভোগ করার মজাই আলাদা। এ জন্যই তারা খেলা দেখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এসেছে।