[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আজ ১৬ জুন। বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র (পিসি) রায়ের মৃত্যুবার্ষিকী। খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রাডুলি গ্রামে ১৮৬১ সালের ২ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন তিনি। স্থানীয় জমিদার হরিশচন্দ্র রায়ও ভুবনমোহিনী দেবীর ছেলে এই বিজ্ঞানী।
১৮৭৮ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন পি সি রায়। এরপর ভর্তি হন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন কলেজে (বর্তমান বিদ্যাসাগর কলেজ)। ১৮৮১ সালে সেখান থেকে এফএ পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করে ভর্তি হন প্রেসিডেন্সি কলেজে বিএ ক্লাসে। সেখান থেকে গিলক্রিস্ট বৃত্তি নিয়ে তিনি স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বিএসসি পাশ করেন।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ঘুরে ১৮৮৮ সালে প্রফুল্লচন্দ্র রায় স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। দেশে ফিরে প্রেসিডেন্সি কলেজে প্রায় ২৪ বছর অধ্যাপনা করেছিলেন। অধ্যাপনাকালে তাঁর প্রিয় বিষয় রসায়ন নিয়ে নিত্য নতুন অনেক গবেষণাও চালিয়ে যান। তাঁর উদ্যোগে নিজস্ব গবেষণাগার থেকেই বেঙ্গল কেমিক্যাল কারখানা হয়। পরে ১৯০১ সালে তা কলকাতার মানিকতলায় ৪৫ একর জমিতে স্থানান্তরিত হয়। তখন এর নতুন নাম রাখা হয় বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কস লিমিটেড।
১৮৯৫ সালে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে মারকিউরাস নাইট্রাইট (HgNO2) আবিষ্কার করেন। তাঁর ওই আবিষ্কার বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলে। এটি তাঁর অন্যতম প্রধান আবিষ্কার। সমগ্র জীবনে মোট ১২টি যৌগিক লবণ এবং পাঁচটি থায়োএস্টার আবিষ্কার করেন তিনি। একজন দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাও ছিলেন তিনি।
সমবায়ের পুরোধা স্যার পিসি রায় ১৯০৯ সালে নিজ জন্মভূমিতে একটি কো-অপারেটিভ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পিতার নামে আর কে বি কে হরিশ্চন্দ্র স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
বাগেরহাটে ১৯১৮ সালে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন পি সি রায়। কলেজটির নাম পি সি রায় কলেজ। দেশে শিক্ষা বিস্তারে আজ বিশাল ভূমিকা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৪৪ সালের ১৬ জুন ৮২ বছর বয়সে ভারতের কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন এই বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী।