[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
নিজস্ব সংবাদদাতা : গত ১৬ ডিসেম্বর ৪৯তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত পরিষদ, বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের অগ্নিঝরা ভাষণে উজ্জীবিত বাঙালীর ১৯৭১ সনের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহদীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় সকাল ৯.৩০ মিনিটে কেআইবি চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
পাশাপাশি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা ও বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে গত ১৫ ডিসেম্বর২০২০ তারিখে খামারবাড়ি,ঢাকার সম্মুখে এবং ১৬ ডিসেম্বর তারিখে কেআইবি চত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সেখানে পুনরায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত পরিষদ, বাংলাদেশ কর্তৃক এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
বর্ণিত দুদিনের কর্মসুচিতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত পরিষদ, বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ পরিষদের সদস্যগণ স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত পরিষদ, বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ তাদের ভাষণে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে যারা অবমাননা করে, অসম্মান করে কথা বলে,যারা বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ভাঙচুরের মত জঘন্য কাজ করে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোর বিরোধী সেইসব কুখ্যাত রাজাকার, আলবদর ও শান্তি বাহিনীর দোসর,এদের বংশধর।
এই সমস্ত মীরজাফর, বেঈমান বাঙালীদের কারণেই মহান মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ বাঙালী মুক্তিযোদ্ধাদেরকে শহীদ হতে হয়েছে, লক্ষ লক্ষ মা-বোনদেরকে সম্ভ্রম হারাতে হয়েছে, বাবা-মাকে সন্তান হারা হতে হয়েছে, কত সন্তানকে হতে হয়েছে মাতৃহারা, পিতৃহারা, কত স্ত্রী-কে হতে হয়েছে বিধবা যা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। এদেরকে আমরা তীব্র ঘৃণা ও ধিক্কার জানিয়ে এদেরকে প্রতিহত করি। এদের বিরুদ্ধে তীব্র সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি।
তাই আসুন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আজকের ৪৯তম মহান বিজয় দিবসের দিনে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ হই। এই সমস্ত দুর্বৃত্তের হাত হতে বাঙালির স্বাধিকারের আদর্শের ধারক ও বাহক আমাদের বিশ্ব বরেণ্য নেতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা অকুতোভয়, সৎ, কর্মঠ ও আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করি।
আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি ও সমর্থন আগামীর বাংলাদেশকে পরিণত করে তুলবে বঙ্গবন্ধুর ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরা উন্নত এক সোনার বাংলাদেশে।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসুচিতে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত পরিষদের সভাপতি কৃষিবিদ বিভূতি ভূষণ সরকার, সিনিয়র সহ-সভাপতি কৃষিবিদ শেখ মোঃ মুজাহিদ নোমানী, বাংলাদেশ কৃষক লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক এবং পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আজমল হোসেন, সহ- সভাপতি কৃষিবিদ মৃত্যুন্জয় রায়, আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মনিন্দ্রনাথ সিংহ, দপ্তর সম্পাদক মোঃ ওসমান গনি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাহেদুল হক,সদস্য কৃষিবিদ মোঃ সাজেদুল ইসলাম সাজুসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।