[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফ। পড়াশুনা রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজে। রায়েরবাজার ব্রিজের দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন বান্ধবীর সঙ্গে। হঠাৎ কয়েকজন কিশোর মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করে। প্রতিবাদ করায় ওই বখাটেদের হাতে প্রাণ দিতে হলো বয়সী জলজ্যান্ত তরুণটিকে।গতকাল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, গতকাল সন্ধ্যার দিকে রায়ের বাজার এলাকায় (ঢালে) বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলছিলেন আরিফ। তখন দু-তিনজন ছেলে এসে মেয়েটিকে উদ্দেশ করে বাজে মন্তব্য করে। প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের সঙ্গে আরিফের কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে একজনকে থাপ্পড় মারেন আরিফ। পরে তারা চলে গিয়ে ১০-১২ জনকে নিয়ে এসে হাজারীবাগ ষড়কুঞ্জ এলাকায় আরিফকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় লাঠি ও ছোরা দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় শুরুতে স্থানীয় শিকদার হাসপাতাল এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ৯টার দিকে আরিফ মারা যান।
এ বিষয়ে হাজারীবাগ থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, ‘কারা মেরেছে সেটা এখনো জানা যায়নি। সঙ্গে থাকা মেয়েটিকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। সে অনুযায়ী হামলাকারীদের খোঁজা হবে। এ বিষয়ে এখনো মামলা হয়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
পুলিশ জানায়, আরিফের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম শহিদুল ইসলাম। রাজধানীতে লালবাগের ইসলামবাগে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। মেয়েটি হাজারীবাগের মনেশ্বর রোডে থাকেন। তিন মাস আগে তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক হয়। আরিফ মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।
আরিফের বান্ধবী বলেন, ‘রায়ের বাজার ঢালে আমরা দাঁড়িয়ে কথাবার্তা বলছিলাম, এ সময় দু-তিনজন ছেলে খারাপ মন্তব্য করে। এতে আরিফ প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে ১০-১২ জন এসে আরিফকে এলোপাতাড়ি মারধর করে ও বাঁশ দিয়ে পেটায়।’
নিহতের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘একটি মেয়ে আমাকে সংবাদ দিয়েছে। এসে দেখতে পাই ছেলের মৃতদেহ। আমি খুনিদের বিচার চাই।’