[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
দেশে বর্তমানে খাদ্য মজুদ পরিস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এবার আমনের চাষাবাদ ভালো হয়েছে, ফলনও ভালো হবে আশা করা যায়। সর্বোপরি বিদেশ থেকে চাল আমদানির কারণে বাজারে প্রতিনিয়তই কমছে চালের দাম। এই অবস্থা স্থিতিশীল রাখতে সরকারের বিভিন্ন জনবান্ধব কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
গতকাল সকালে বগুড়ার সান্তাহার সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপোর (সিএসডি) উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে খাদ্যমজুদের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মানসম্মত সিএসডি ও সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব গুদামগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনমান উন্নত করতে আধুনিকমানের আবাসন ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারগুলোতে গেষ্ট হাউজ এবং কনফারেন্সরুম নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে কোন খাদ্য সংকট নেই। দেশের সাধারণ মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে ১০ টাকা কেজি মূল্যে খোলা বাজারে চাল বিক্রির ব্যবস্থা চালু রয়েছে। টি আর এবং কাবিখা কর্মসূচি যথাযথ ভাবে চলমান রয়েছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার আরো বলেন, চাল সরবরাহের সময় খাদ্যগুদামের নাম, তারিখ এবং কোন খাতে এটা স্পষ্ট স্টেনসিলের মাধ্যমে অমোচনীয় কালি দারা লিখতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং মাঠ পর্যায়ের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, ওসিএলএসডিসহ সকল কর্মচারীবৃন্দ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এ জন্য মন্ত্রী তাদেরকে ধন্যবাদ জানান। এসময় খাদ্যমন্ত্রী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধান চাল সংগ্রহের সময় কৃষক বা মিলারের সঙ্গে অসদাচারণ ও দুর্নীতিতে না জড়াতে আহ্বান জানান।
এ সময় খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সারা বাংলাদেশে উন্নয়ন ও মেরামত প্রকল্পের পরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবির, রাজশাহী বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি এম ফারুক পাটোয়ারী, বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মোতাহার হোসেন, নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবির, রাজশাহীর বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আলীসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
