[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রথমবারের মতো নজরুল পুরস্কার প্রবর্তন একটি অর্থপূর্ণ উদ্যোগ। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী ও ‘বিদ্রোহী’ কবিতার শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে এ সময়োপযোগী উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। আশা করি, এর মাধ্যমে দেশের নজরুল লেখক, গবেষক, প্রাবন্ধিক, শিল্পী ও নজরুল অনুরাগীদের যথোপযুক্ত সম্মানিত করা সম্ভব হবে। আমি এক্ষেত্রে স্বনামধন্য প্রবীণ নজরুল লেখক, গবেষক ও শিল্পীদের প্রাধান্য দেয়ার আহবান জানাই যাতে তারা তাদের জীবদ্দশায় সৃজনশীলতার স্বাক্ষরস্বরূপ পুরস্কার বা সম্মান দেখে যেতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি আয়োজিত একক বক্তৃতা, নজরুল পুরস্কার-২০২২ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম দু’জনই বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যচর্চা করেছেন প্রায় ৬৮ বছর। অন্যদিকে নজরুল সাহিত্যচর্চা করতে পেরেছেন মাত্র ২০-২৫ বছর। তিনি ৩৪ বছর ১২০ দিন নির্বাক ছিলেন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ দীর্ঘ সময় নির্বাক না থাকলে নজরুল বাংলা সাহিত্যকে আরো অনেক কিছু দিতে পারতেন। হয়তো বাংলা সাহিত্যের ভাগ্যাকাশে জুটতো আরেকটি নোবেল পুরস্কার।
বাংলা একাডেমির সভাপতি বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর। একক বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. লীনা তাপসী খান।
বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রথমবারের মতো চালু হওয়া নজরুল পুরস্কার-২০২২ প্রদান করা হয় নজরুল সাহিত্য ও গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য ইমেরিটাস অধ্যাপক প্রফেসর ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। পুরস্কার হিসেবে একটি ক্রেস্ট, সম্মাননা সনদ ও দুই লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সম্পাদিত ১০০ জন লেখকের নজরুল বিষয়ক লেখা নিয়ে ‘বিদ্রোহী শতবর্ষে শতদৃষ্টি’ শীর্ষক স্মারক গ্রন্থের (১ম খণ্ড) মোড়ক উন্মোচন করা হয়।