[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনা বিস্তৃত হয়েছে। এর সাথে যোগ হয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও সাম্প্রতিক বন্যা। সব মিলিয়ে দেশের সিংহভাগ জনগোষ্ঠী অর্থাৎ শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন। করোনা আমাদের সবকিছু ওলট পালট করে দিয়েছে এবং আমরা নতুনভাবে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। দুনিয়া পাল্টাচ্ছে, পাল্টাতে হতে হচ্ছে আমাদেরও। নয়া স্বাভাবিকতার বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, বেকারত্ব হ্রাস, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, খাদ্য প্রকিয়াজাতকরণসহ খাদ্য মান-শৃঙ্খলের বিভিন্ন স্তরে দেশের যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলে তা খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলায় সহযোগিতা করবে বলে যুব ছায়া সংসদ মনে করে।
এ বিষয়ে সংসদীয় ধারায় সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে যুক্তিনির্ভর আলোচনা করার মাধ্যমে দেশের যুব সমাজকে অনুপ্রাণিত করা এবং তাদের জন্য সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার অভিপ্রায়ে আগামী ২৫ জুলাই বিকাল ৩টা-৫ টা পর্যন্ত যুব ছায়া সংসদ এর ৯ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। করোনাকালীন বাস্তবতায় অনলাইনে দেশের ৩০০টি সংসদের আসনের প্রতিনিধি হিসেবে ৩০০জন যুবক আয়োজিত যুব ছায়া সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবে। যুব ছায়া সংসদের এবারের প্রতিপাদ্য “নয়া স্বাভাবিকতা ও খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি : উত্তরণে যুব নেতৃত্ব”।
উল্লেখ্য, যুবদের মধ্যে নেতৃত্বের বিকাশ, গণতান্ত্রিক চর্চা বৃদ্ধি, তারুণ্যের অগ্রযাত্রায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলায় প্রণোদনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে মহান জাতীয় সংসদের আদলে ২০১৪ সাল থেকে যুব ছায়া সংসদ এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এবং এই পর্যন্ত ৮টি অধিবেশন সম্পন্ন হয়েছে।