[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
বাংলাদেশ থেকে অধিক পরিমাণে ওষুধ, মেলামাইন, সিরামিক, প্লাস্টিক এবং চামড়া ও পাটজাত পণ্য আমদানির জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বিশ্বমানের চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, ওষুধ, সিরামিক, মেলামাইন ও প্লাস্টিক সামগ্রী উৎপাদন করছে। আলজেরিয়ার বাজারে এসব বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের এসব সম্ভাবনাময় শিল্পখাতে আলজেরিয়ার উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি এর সাথে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠককালে শিল্পমন্ত্রী আজ এ আহ্বান জানান। এসময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় দু’দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন গঠন, দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর, রাসায়নিক সারসহ উদীয়মান শিল্পখাতে প্রযুক্তি হস্তান্তর, দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদারসহ অন্যান্য ইস্যু আলোচনায় স্থান পায়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, মুসলিম ভাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে আলজেরিয়ার সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। ইসলামিক সম্মেলন সংস্থায় বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিতে আলজেরিয়ার মূখ্য ভূমিকা ছিল। ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আলজিয়ার্সে ঐতিহাসিক সফরের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি রচিত হয়েছে। নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে আগামী দিনে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা -বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র আরো প্রসারিত হবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে এলএনজি, এলপিজি, ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ও অলিভ অয়েলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, আলজেরিয়া এসব পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করতে পারে। তিনি বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি এবং রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি কূটনৈতিক প্রস্তাবনা দেয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতকে পরামর্শ দেন। এর ভিত্তিতে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন গঠন, দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর, শিল্পপণ্য আমদানি-রপ্তানিসহ সামগ্রিক বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশে প্রতিবছর আলজেরিয়া থেকে সার আমদানি করছে। বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আগামী দিনেও আলজেরিয়া নিরবিচ্ছিন্নভাবে সার সরবরাহ করে যাবে। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে জনবল আলজেরিয়ার সার কারখানাগুলোতে দক্ষতা ও সুনামের সাথে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিশ্বমানের সার কারখানা স্থাপনে আলজেরিয়ার প্রযুক্তি, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা কাজে লাগানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে আলজেরিয়ার সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে আগ্রহী বলে তিনি জানান।