বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম রিপোর্ট প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ

বুধবার, মে ২৫, ২০২২,৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ
0
20

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

বাংলাদেশের জন্য স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট (এসইএআর) প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। আজ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সংস্থাটির এশিয়া প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলের ইকনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন (ইউএনইএসসিএপি) এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ যৌথ অংশীদারিত্বে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাহী সেক্রেটারি আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাহবানা।

 প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি, বর্তমান পরিস্থিতি এবং দেশে স্টার্ট-আপ সংস্কৃতিবান্ধব নীতি ও বাংলাদেশের ডিজিটাল ভবিষ্যতের সুগভীর বিশ্লেষণ ও পূর্ণাঙ্গ ধারণা প্রকাশ পেয়েছে।

প্রতিবেদনে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের স্টার্ট-আপগুলো ৪৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ প্রাপ্তিকে স্বাভাবিক ফলাফল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টমেন্ট (জিএলআই) সম্পর্কে একটি বিশেষ অনুসন্ধানও রয়েছে। নারী স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠাতা এবং উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জের ওপর  আলোকপাত করার অপরিহার্যতা তুলে ধরে তাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি এবং ব্যবসায়িক অনুশীলনের প্রয়োজনীয়তা ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে সরকারের প্রাসঙ্গিক স্টার্ট-আপ নীতি প্রণয়নের সময় এই প্রতিবেদনটি প্রামাণ্য দলিল হিসাবে কাজ করবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নকে অবিস্মরণীয় উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির অসাধারণ সাফল্যের পর এবার চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নিজেদের মানিয়ে নিতে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশে একটি প্রাণবন্ত স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হচ্ছে। আশা করছি, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ আয়ের সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়িত হবে।         

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল ও নির্বাহী সেক্রেটারি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে উদ্ভাবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে স্টার্ট-আপ। যেহেতু বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ সম্প্রদায় বিভিন্ন সেক্টরে অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করছে, তাই এই বৃদ্ধিকে টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে সমর্থন করার জন্য সামগ্রিক ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার এখনই সঠিক সময়।

প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমে সরকারি ও বেসরকারি স্টেকহোল্ডারদের সাথে একাধিক সংলাপ, বিস্তৃত তথ্য পর্যালোচনা, সাক্ষাৎকার এবং বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ অর্থনীতিতে প্রধান অংশগ্রহণকারীদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমের এই ব্যাপক মূল্যায়ন পরিচালনা করেছে ইএসসিএপি (স্ক্যাপ)।

থাইল্যান্ডের ইউএনইএসসিএপি অফিসে প্রতিবেদনটি প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ইউএনইএসসিএপি এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে