[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
আন্তর্জাতিক আদালতের অন্তর্বর্তী রায় এলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্ব হওয়ার যে হুমকি মিয়ানমার দিয়েছে, একে তাদের অপকৌশলের অংশ হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। প্রত্যাবাসন এবং রায় সম্পূর্ণ আলাদা দুটি বিষয়। রায় এলে উল্টো প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় গতি আসবে বলে আশাবাদী সাবেক কূটনীতিকরা।
৩ দিনের শুনানিতে নিজেদের অপরাধ ঢাকার সবটুকু প্রস্তুতিই ছিলো মিয়ানমারের। আন্তর্জাতিক প্যানেলের আইনজীবী, বিশ্বখ্যাত গণহত্যা বিশেষজ্ঞ, এমনকি স্বয়ং দেশটির স্টেট কাউন্সিলর সূচি নিজেই অংশ নেন সাফাইয়ে। কিন্তু লুকানো যায়নি অপরাধ। পূর্ণাঙ্গ রায় পেতে আরও তথ্য উপাত্ত উপস্থাপনসহ লম্বা সময়ের প্রয়োজন। তবে বাদী গাম্বিয়ার আবেদন অনুযায়ী একমাসের মধ্যে আসতে পারে অন্তর্বর্তী রায়। যেখানে উল্লেখ থাকতে পারে গণহত্যার সাথে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি । আর তাতেই আতঙ্কিত মিয়ানমার বাংলাদেশকে হুমকি দিচ্ছে প্রত্যাবাসন ঝুলিয়ে দেয়ার।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘মিয়ানমার এটাকে কৌশল দেখানোর চেষ্টা করছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আলাদা। কাজেই, এটা দীর্ঘায়িত হবে কিভাবে? রোহিঙ্গাদের যাওয়ার জন্য পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে এটা কিন্তু ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আদালতের অন্তর্বর্তী রায় আসলেই নিজেদের স্বার্থে মিয়ানমারের প্রতি সমর্থনের মাত্রা কমিয়ে আনতে পারে মিত্র দেশ চীন রাশিয়া ও জাপান। এছাড়া নিরাপত্তার আশ্বাস পেলে রোহিঙ্গারাও আগ্রহী হবেন স্বদেশে ফিরে যেতে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘গণহত্যার মতো একটি অপরাধের বোঝা তারা বহন করে কীভাবে এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিভিন্ন উদ্যোগকে তারা অস্বীকার করবে সেটিও দেখার বিষয়। এসব হুমকিতে তাই ভয় না পেয়ে কূটনৈতিক চাপ আরও বাড়ানোর তাগিদ সাবেক কূটনীতিকদের।