[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার বই আছে। তবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়াচীন তাঁর লেখক সত্তার অনন্য পরিচয়ে ভাস্বর। গ্রন্থ তিনটির বিষয়বস্তু পর্যালোচনায় দেখা যায় তাঁর সংগ্রাম, অধ্যবসায় ও আত্মত্যাগের মহিমা বর্তমান প্রজন্মের জন্যও অনুসরণীয়। তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর জন্য বাংলাদেশের এমন কোনো মা ছিলেন না যারা দোয়া করেননি বা রোজা রাখেননি। আমার মা তার জন্য ৯ মাস রোজা রেখেছেন, তার সন্তান ফিরে আসবে না জেনেও বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।
মন্ত্রী ঢাকায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মু. ইসমাইল হোসেন বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন ‘তোমরা অবশ্যই পৃথিবীর অনেক মহামানবের জীবনী অধ্যয়ন করবে। যে মানুষটি তোমাদেরকে একটি দেশ দিয়ে গেছেন, যিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করেছেন তাঁকে পাঠ করতে কখনো ভুলবে না। তিনি বলেন, ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রচলিত শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর দরকার। তিনি শিক্ষার্থীদেরকে আইওটি, রোবটিক্স, এআই, ব্লকচেইন পড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি যাতে তারা উদ্ভাবন করতে পারে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে হবে। মেধাস¦ত্ব দিয়ে আবিষ্কারকে রক্ষা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী। তিনি আবিষ্কৃত উদ্ভাবনকে বাণিজ্যিকীকরণ করার মাধ্যমে মানুষের কাছে তা পৌঁছানোর পরামর্শও ব্যক্ত করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, নতুন প্রজন্ম সমৃদ্ধ হলে দেশ ও জাতি সমৃদ্ধ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ পঞ্চম শিল্পবিপ্লবে অংশ গ্রহণের সক্ষমতা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে। পৃথিবীর উন্নত অনেক দেশ ফাইভ-জি চালু করতে পারেনি। গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে।
পরে মন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষ্যে শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হস্তান্তর করেন। মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু কর্নার, জিম, পাঠাগার, ক্যান্টিন ও অন্যান্য স্থাপনা পরিদর্শন করেন।