বসুন্ধরা এমডি সায়েম সোবহানের বিরুদ্ধে তরুণীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা’র অভিযোগ, বিদেশযাত্রায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা

বুধবার, এপ্রিল ২৮, ২০২১,৯:০০ পূর্বাহ্ণ
0
28

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

ঢাকায় পুলিশ বলছে, একজন তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা হওয়ার পর তার বিদেশযাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

মৃত তরুণীটির বোন ‘আত্মহত্যার প্ররোচনা’র অভিযোগ তুলে সায়েম সোবহান আনভীরকে অভিযুক্ত করে মঙ্গলবার ভোররাতে মামলাটি করেন।

পুলিশের গুলশান অঞ্চলের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিবিসিকে বলেন, মামলাটি হওয়ার পর মি. আনভীরের বিদেশযাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে একটি আবেদন করেছিল পুলিশ। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। এ সংক্রান্ত নথিপত্র পুলিশের ইমিগ্রেশন বিভাগে পাঠিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানান মি. চক্রবর্তী।

মি. আনভীর বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্যের জন্য বিবিসি বাংলা মি. আনভীর এবং বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাদের তরফ থেকে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

মৃত তরুণীটি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের একজন ছাত্রী ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে কয়েকমাস ধরে তিনি একাই থাকছিলেন।

গুলশান অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল হাসান ফিরোজ বিবিসিকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় ওই তরুণীর বোন কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যায় গুলশানের অ্যাপার্টমেন্টটিতে ঢুকে তিনি বোনের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।

পরে পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে দেখতে পায় যে, মৃতদেহটি সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে। রাতেই মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে। রাতে মেয়েটির বড়বোন গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, তাতে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মি. হাসান বলছেন, মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে যে ওই তরুণীর সাথে মি. আনভীরের দুই বছর যাবৎ সম্পর্ক ছিল।

বিষয়টি নিয়ে বিবিসির তরফ থেকে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

মি. আনভীরের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটিও সকাল থেকে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা গোলাম মোহাম্মদের সঙ্গে বিবিসির কথা হয়েছে। তিনি জানান যে তার বিষয়ে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে মন্তব্য করতে মি. আনভীরকে পাওয়া যাবে না। মি. মোহাম্মদ বলেন, “হি ইজ আনঅ্যাভেইলেবল।”

সংবাদ : বিবিসি ।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে