[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কোভিড-১৯ সংক্রমণের তীব্রতার মধ্যেও জীবন-জীবিকার চাকা সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংক্রমণের দ্রুত অবনতিশীল পরিস্থিতিতে লকডাউন করা ছাড়া কোন উপায় ছিল না।
এই অবস্থায় সাধারণ কর্মজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ ও কষ্ট বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র বিমোচনের যে ক্ষেত্র তৈরী করে দিয়েছিলেন, কারোনার ছোবলে তার অগ্রযাত্রা আপাতত স্থিমিত হলেও সুন্দর ভবিষ্যতও সাফল্য অপেক্ষমান। তার আগে আমাদের করোনাযুদ্ধে বিজয়ী হতে হবে। এজন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলা এবং নিজের ও অন্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
গতকাল বুধবার ১৪নং লালখান বাজার, ১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ক্রাশ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে নালা-নর্দমা থেকে মাটি উত্তোলন জমাট আবর্জনা পরিষ্কার ও মশক নিধনের স্প্রে চলাকালে তিনি এই আহ্বান জানান। ক্রাশ প্রোগ্রাম অনলাইন সংযোগে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, রমজান মাসে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির পর নগরীর কোন কোন এলাকায় ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে এবং ওয়াসার পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা বিঘ্নিত হচ্ছে।
মেয়র আশা প্রকাশ করেন যে, সংশ্লিষ্ট সংস্থা এই দুর্ভোগ লাঘবে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ ব্যবস্থাপনা কার্যকর করবে। তিনি নগরবাসীকে আশ্বস্থ করেন যে, করোনাকালের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তা সুরক্ষায় লকডাউন প্রলম্বিত হলেও সিটি কর্পোরেশন জরুরী সেবা কার্যক্রম সার্বক্ষণিক চলমান থাকবে। বর্ষার আগেই নালা-নর্দমা থেকে মাটি উত্তোলন ও পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা অপসারণ ও মশক প্রজনন বিস্তার রোধে ঔষধ ছিটানো ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে চসিকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও জনবল মাঠে থাকবে। তিনি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চলাচল উপযোগী রাখার জন্য প্যাচওয়াক চালু রাখা হয়েছে বলে জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ওয়াসিম উদ্দীন চৌধুরী, ১৪নং লালখান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসানাত মো. বেলাল, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, প্রণব শর্মা প্রমুখ।