[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আজ ২০ ডিসেম্বর‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০২০’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০২০’ উপলক্ষ্যে আমি এ বাহিনীর সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বীরত্ব ও ঐতিহ্যে গৌরবমণ্ডিত ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ বিজিবি’র রয়েছে সুদীর্ঘ দুশো পঁচিশ বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর রয়েছে অবিস্মরণীয় অবদান। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাতে পাক-হানাদারবাহিনী ঢাকার পিলখানাস্থ তৎকালীন ইপিআর সদরদপ্তর আক্রমণ করে। ইপিআর সদরদপ্তর থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ওয়্যারলেসযোগে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেয়া হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ এবং বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফসহ এ বাহিনীর ৮১৭ জন অকুতোভয় সদস্য আত্মোৎসর্গ করে দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বাহিনীকে ২০০৮ সালে স্বাধীনতাপদকে ভূষিত করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশমাতৃকার প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে বিজিবি’র যে সকল সদস্য আত্মত্যাগ করেছেন, আমি তাঁদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি।
দেশের সীমান্তরক্ষা, চোরাচালানপ্রতিরোধ, নারী-শিশু এবং মাদকপাচার প্রতিরোধে সীমান্তে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বিজিবি। দুর্যোগকালীন উদ্ধারকার্যক্রম পরিচালনা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তাবিধানেও বিজিবি প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। বিজিবিকে একটি আধুনিক সীমান্তরক্ষীবাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০’ প্রণয়ন এবং ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১’ পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে এ বাহিনীর সার্বিক কর্মকাণ্ডে গতি সঞ্চারিত হয়েছে। সরকারের এসকল পদক্ষেপ বিজিবি’র অগ্রগতি ও সমদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। দেশের স্বার্থসমুন্নত রাখতে বিজিবি’র সকল সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করবেন – এটাই সকলের প্রত্যাশা।
আমি ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ এর অব্যাহত সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”