বজ্রপাতে শিশুসহ নিহত ৪

শনিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২০,৭:৩৫ পূর্বাহ্ণ
0
60

[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]

দুই কৃষক মারা গেছেন সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে হাওরে কাজ করার সময়। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় একই সময়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাল্লা উপজেলায় একজন এবং জগন্নাথপুর উপজেলায় আরেকজন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বেলা সাড়ে ১০টায় ঝড় ও কালবৈশাখী শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতের ঘটনাও ঘটে। শাল্লা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রাম থেকে শাষখাই যাবার পথে কৃষক শঙ্কর সরকার (২২) ঘটনাস্থলেই বজ্রাঘাতে মারা যান। এদিকে জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরে কাজ করার সময় মারা যান উপজেলার বাউধরন গ্রামের কৃষক শিপন মিয়া (২৪)। বজ্রপাতে শিপন মিয়ার একটি গরুও মারা যায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী ও জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন।

অপরদিকে, শনিবার সকালে বজ্রপাতে কৃষক ইয়াহিয়া (২৫) ও রায়হান (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে নেত্রকোনার মদনে গোবিন্দশ্রী বিজ্জয়াইল হাওরে। এ সময় আরো তিনজন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহত ইয়াসিন উপজেলা গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের বারগরিয়া গ্রামের (রাজালীকান্দা পশ্চিম পাড়ার) মঞ্জুল হকের ছেলে ও নিহত রায়হান একই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। আহত টিপন (২৭), ইসলাম (২২) ও দুর্জয় (৯) কে মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, চলমান করোনা প্রাদুর্ভাবে বোরো ফসল কাটতে শ্রমিক সংকট থাকায় শনিবার সকালে গোবিন্দশ্রী গ্রামের সামনের বিজ্জয়াইল হাওরে ধান কাটতে যায় ইয়াহিয়াসহ বাকি আহতরা। সকালের খাবারের সময় হলে বাবা সেলিমের জন্য ভাত নিয়ে হাওরে যায় শিশু রায়হান। তখন বজ্রপাতে ইয়াহিয়া, টিপন, ইসলাম, দুর্জয় আহত হলে লোকজন তাদের উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে নিয়ে আসে। মদন হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎক ডাক্তার ইমি আক্তার ইয়াহিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশু রায়হান ঘটনাস্থলে মারা যায় বলে নিশ্চিত করেছেন তার বাবা সেলিম মিয়া।

ওসি মো. রমিজুল হক জানান, শনিবার সকালে গোবিন্দশ্রী হাওরে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

বিঃদ্রঃ মানব সংবাদ সব ধরনের আলোচনা-সমালোচনা সাদরে গ্রহণ ও উৎসাহিত করে। অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য পরিহার করুন। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে