[ + ফন্ট সাইজ বড় করুন ] /[ - ফন্ট সাইজ ছোট করুন ]
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেবল বাংলাদেশ কিংবা ভারতীয় উপমহাদেশের একজন সুমহান রাজনীতিবিদ ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন বিশ্বনেতা। তিনি আজীবন এমনকি জাতিসংঘের অধিবেশনে বক্তৃতা করার সময়ও বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের অধিকারের কথা বলেছিলেন, তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। গরীব-দুঃখী, শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন, আত্মোৎসর্গ করেছেন। তাই এ বিশ্বরাজনীতিকের জীবন দর্শন ও চেতনা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তাঁর রচিত গ্রন্থ ৩টি রেকর্ড সংখ্যক ভাষায় অনূদিত হওয়া প্রয়োজন।
গতকাল মন্ত্রণালয়ের নিজ অফিসকক্ষ হতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত মুক্তধারা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘২৯তম নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা-২০২০’ এর ওয়েবসাইট অনলাইনে উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু রচিত গ্রন্থসমূহ ইতোমধ্যে বিশ্বের ১২টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। সারাবিশ্বে বর্তমানে বাংলাদেশের মোট ৭৭টি মিশন রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু রচিত গ্রন্থ ৩টি বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মিশনসমূহকে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান। তিনি এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতাও কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ, বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক এবং লেখক ফারুক হোসেন।
উল্লেখ্য, ‘যত বই তত প্রাণ’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্বের প্রথম ভার্চুয়াল বাংলা বইমেলাটি আগামী ১৮ হতে ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখ পর্যন্ত চলবে।